বিশ্বের গণতন্ত্র ধারাকে অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর এবং বিশ্বের যেখানেই এই ধারা ব্যহত হবে সেখানেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে কারচুপি করার অভিযোগে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর নতুন করে আবার এ সতর্কতা দিয়েছেন তিনি।

গত জুনে সিয়েরা লিওনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এই নির্বাচনে জালিয়াতি করার অভিযোগে দেশটির কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার আইনের ২১২(এ)৩(সি) ধারায় সিয়েরা লিওনের ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িততের ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, সিয়েরা লিওন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, যারা সিয়েরা লিওনের গণতন্ত্রকে বিনষ্টের সঙ্গে জড়িত, এই নীতিতে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। যার মধ্যে রয়েছে— নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন অথবা সামাজিক সংস্থার ওপর হামলা ও হুমকি প্রদান এবং সিয়েরা লিয়নের মানবাধিকার লঙ্গনের বিষয়টি।’

তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা সিয়েরা লিওনের সব মানুষের ওপর নয়, শুধুমাত্র নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের ওপর প্রয়োগ করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছে, সিয়েরা লিওনের মানুষের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের যে আকাঙ্খা রয়েছে সেটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে সমর্থন রয়েছে— এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা সেটিরই প্রতিফলন।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যারা নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন। এরমাধ্যমে নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না।

এমটিআই