চালের দাম নির্ধারণ করে দিলেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ফিলিপাইনেও বাড়ছে অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য চালের দাম। আর দিন দিন এই দাম চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে চালের মূল্য বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।
দেশটির প্রেসিডেন্ট দপ্তর শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, ‘সাধারণ ফিলিপিনো, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক মানুষের ওপর বিশাল অর্থনৈতিক ধকলের বিষয়টি বিবেচনা করে প্রেসিডেন্ট এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।’
বিজ্ঞাপন
প্রেসিডেন্ট মার্কো মিলের সাধারণ চাল প্রতি কেজি ৪১ পেসো (৮০ টাকা) এবং মিলের উন্নতমানে চাল প্রতি কেজি ৪৫ পেসো (৮৮ টাকা) নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর আরও জানিয়েছে, খুচরা পর্যায়ে চালের দাম ‘আশঙ্কাজনক’ বৃদ্ধি পেয়েছে অবৈধ দামের হেরফের— যেমন সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীদের মজুদ এবং এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের কারণে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ভারতের চাল রপ্তানি বন্ধ এবং তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণেও চালের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
প্রেসিডেন্ট মার্কোস দেশটির কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, অবৈধ আমদানি ও মজুদ বন্ধে যেন আড়ৎগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
ফিলিপাইন ২০২২ সালের জানুয়ারিতেও মূল্যস্ফীতি ছিল ১ শতাংশ। সেটি বেড়ে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ৪ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ফিলিপাইনের নাগরিকরা যে অর্থ আয় করেন তার ৬০ শতাংশই ব্যয় করেন খাবারের ওপর। এশিয়ার মধ্যে ফিলিপাইনে সাম্প্রতিক সময়ে পণ্যের মূল্য সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছিল। তবে জুলাইয়ে সেটি কমে ৪ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে।
সূত্র: আল জাজিরা
এমটিআই