পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (ফাইল ছবি)

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তার ছেলেদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পাকিস্তানের একটি আদালত এই অনুমতি দেন।

এ বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট আদালত বৃহস্পতিবার পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তার ছেলেদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে অ্যাটক জেল সুপারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইমরান খান তার আইনজীবী উমাইর নিয়াজি এবং শিরাজ আহমেদের মাধ্যমে ছেলেদের সাথে কথা বলার অনুমতি চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন করেছিলেন। আবেদনে পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার ছেলেদের - কাসিম এবং সুলাইমান খান - সাথে টেলিফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতে চাই।’

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, আদালতের নির্দেশের পর পিটিআই চেয়ারম্যানের তার ছেলেদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের অবস্থান নিয়ে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র বিভাগে আলোচনা হয়েছে। ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি প্রিজনস) মিয়া ফারুক নাজির বিষয়টি নিয়ে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাটক কারাগারে আন্তর্জাতিক কল করার কোনও সুবিধা নেই এবং এই সুবিধাটি শুধুমাত্র লাহোরের কোট লাখপত জেল এবং রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে রয়েছে যেখানে কিছু বিদেশি বন্দি রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত মাসে দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে গত সপ্তাহে কারাদাণ্ডের সেই রায় স্থগিত করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। যদিও এসব অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছিলেন ইমরান।

এছাড়া দুর্নীতির মামলার রায় স্থগিত ঘোষণা করে ইমরানকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এ রায়কে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের জন্য বড় রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

যদিও গোপন তারবার্তা ফাঁসের ‘গুরুতর অপরাধে’ এখন ইমরানকে অ্যাটক কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আর সেখান থেকেই তাকে ছেলেদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন দেশটির অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট আদালত।

টিএম