রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন গত ২৩ আগস্ট মস্কোর অদূরে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকেই ‘প্রিগোজিনের জীবন নিয়ে ঝুঁকি’ ছিল। কারণ এর দুই মাস আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

মৃত্যুর আগে প্রিগোজিন আফ্রিকায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আসার পরের দিনই প্লেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।

বিদ্রোহের পর প্রিগোজিন কোথায় আছেন, কেমন আছেন এবং বেঁচে আছেন কিনা এমন বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। সে বিষয়গুলো নিয়েই মৃত্যুর কয়েকদিন আগে কথা বলে গিয়েছিলেন তিনি।

আফ্রিকার কোনো একটি দেশে এ নিয়ে একটি ভিডিও ধারণ করেছিলেন তিনি। সেই ভিডিওটি বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ওয়াগনার সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেলে গ্রে জোনে প্রকাশ করা হয়।

এতে প্রিগোজিন বলেন, ‘যারা আলোচনা করছেন আমি বেঁচে আছি কি না এবং আমি কী করছি। এটি ২০২৩ সালের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের একটি সপ্তাহের শেষ দিন। আমি আফ্রিকায় আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা এখন পর্যন্ত আমার মৃত্যু, আমার ব্যক্তিগত জীবন, এখানে আমার কাজ, বা অন্য কিছু নিয়ে ভাবছেন; সবকিছু ঠিক আছে।’

আরও পড়ুন>>> নিজ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে নীরবে সমাহিত প্রিগোজিন

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে সেটি নিশ্চিত নয়। কারণ দেখা যাচ্ছে প্রিগোজিন একটি চলন্ত গাড়ির ভেতর কথা বলছিলেন।

এর আগে গত ২১ জুলাই প্রিগোজিনের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই ভিডিওতে সামরিক বাহিনীর যে পোশাক তিনি পরেছিলেন বৃহস্পতিবারের প্রকাশিত ভিডিওর সঙ্গে সেটির মিল আছে।

প্রিগোজিন ভিডিওতে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের কোনো একটি সপ্তাহের শেষ দিনের কথা বলেছিলেন। ফলে ধারণা করা হচ্ছে এটি ১৯ অথবা ২০ আগস্ট ধারণ করা হয়েছিল।

বিদ্রোহের আগে ওয়াগনার বাহিনীর মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন প্রিগোজিন। কিন্তু বিদ্রোহের পর তার সেই সাম্রাজ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছিল। এছাড়া নিজের জীবন নিয়েও শঙ্কায় ছিলেন তিনি। এই ভিডিওতে সেটিই ফুটে উঠেছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই