ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিগামী ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মাঝ-আকাশে বাংলাদেশি এক মেয়েশিশু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হওয়ার পর বিমানের জরুরি অব্তরণ করা হয়। চিকিৎসার জন্য মহারাষ্ট্র প্রদেশে বিমান জরুরি অবতরণ করে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। কিন্তু তাকে বাঁচাতে চিকিৎসকদের তিনদিনের প্রাণপণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরের এক হাসপাতালে সে মারা গেছে বলে সেখানকার একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, গত রোববার (২৭ আগস্ট) নয়াদিল্লিগামী ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়। পরে নাগপুরের একটি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়। শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার কারণে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরু-নয়াদিল্লি রুটে চলাচলকারী ভিস্তারার একটি ফ্লাইটে মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ভ্রমণ করছিল। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় রোববার গভীর রাতে মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ভিস্তারার ফ্লাইট।

মাঝ-আকাশে শিশুটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হওয়ায় অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় বিমানের সহযাত্রীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেন বলে জানান ওই চিকিৎসক।

নাগপুরের কেআইএমএস-কিংসওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল শিশুটিকে। এই হাসপাতালের উপ-মহাব্যবস্থাপক এজাজ শামি বলেন, গত তিন দিন ধরে নিরলস লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৩টায় শিশুটি মারা গেছে।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ফ্লাইট মাঝ-আকাশে থাকাকালীন এবং হাসপাতালে নেওয়ার সময় শিশুটিকে কয়েকবার সিপিআর দেওয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। কিডনি বিকল এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় ভুগছিল সে।

এজাজ শামি বলেন, ‘হাসপাতালের স্টাফ ও চিকিৎসকরা শিশুটিকে সার্বক্ষণিক সেবা দিয়েছেন। বিশেষ সেবা দেওয়া সত্ত্বেও শিশুটি বাঁচতে পারেনি এবং তাকে আজ ভোর সোয়া ৩টায় মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

মেয়েটির বাবা-মা এবং আত্মীয়দের নিয়মিত কাউন্সেলিং করা হয়েছে। তারা তার পরিণতি বুঝতে পেরেছিলেন। কারণ তার শরীরের একের পর এক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়েছিল, বলেন কেআইএমএস-কিংসওয়ে হাসপাতালের ওই উপ-মহাব্যবস্থাপক।

তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানো চেষ্টা করছে।

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএস