রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন গত ২৩ আগস্ট প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার এ মৃত্যুর বিষয়টি ২৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে রাশিয়া।

প্রিগোজিন এক সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন। কিন্তু দুই মাস আগে গত ২৩ জুন তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় একদিনের ব্যবধানে প্রিগোজিন পুতিনের ‘বন্ধু থেকে শত্রুতে’ পরিণত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব দাবিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো।

প্রিগোজিনের মরদেহ উদ্ধার ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এখন তাকে শেষ বিদায় জানানোর প্রস্তুতি চলছে। অনেকেরই আগ্রহ ছিল, সাবেক ওয়াগনার প্রধানের শেষযাত্রায় পুতিন যোগ দেবেন কি না।

আরও পড়ুন>>> প্রিগোজিনের মৃত্যুর পর ওয়াগনার সেনাদের নতুন নির্দেশ পুতিনের

তবে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকোভ জানিয়েছেন, প্রিগোজিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিনের যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এছাড়া এ ব্যাপারে তারা অবগতও নন।

পেসকোভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রিগোজিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পরিকল্পনার ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না, এটি তার পরিবারের বিষয়।’

এদিকে গত জুনে বিদ্রোহের পরও পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রিগোজিন। ওই সময় পুতিন তাকে সরাসরি অনুরোধ করেছিলেন, ওয়াগনারের নিয়ন্ত্রণ যেন রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর কাছে তুলে দেওয়া হয়। তবে এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন প্রিগোজিন। বিদ্রোহ এবং এই অনুরোধ না রাখার কারণে ওয়াগনার প্রধানের ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন পুতিন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই