ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে সশস্ত্র মাওবাদীদের সঙ্গে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী সিপিআরএফ-এর বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার দুপুরে প্রাদেশিক রাজধানী রায়পুর থেকে ৪০০ কিমি দূরের বিজাপুর জেলায় ওই বন্দুকযুদ্ধ হয়।

ঘটনার পর শনিবার প্রথমে ৫ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। রোববার সকালে ৮ জন নিহত এবং ১৮ জন নিখোঁজ হওয়ার কথা জানানো হয়। এরপর সবশেষ মোট ২২ জন নিহত এবং এক জওয়ান নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

ছত্তিশগড় পুলিশের মহাপরিচালক (নকশাল অপারেশন্স) অশোক জুনেজার বরাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জন হওয়ার খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর দুই হাজার সদস্যের সমন্বয়ে পৃথক দুটি যৌথ দল মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বিজাপুর থেকে সুকমা জেলায় দক্ষিণ বাস্তার জঙ্গলে অভিযান শুরু করার পর দুপুর ১২টার দিকে মাওবাদীদের চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। তিন ঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযদ্ধে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

রোববার সিআরপিএফ এর জগদলপুর শিবিরে নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।

রোববার ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের সঙ্গে কথা বলে সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে অমিত শাহ দেশটির আধা সামরিক বাহিনী সিপিআরএফ-এর মহাপরিচালক কুলদীপ সিংকে দ্রুত ছত্তিশগড় সফর করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনুযায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্র সরকার থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে লড়ে এতে জয়ী হবে।’ 

অমিত শাহ টুইট করেছেন, ‌‘ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হওয়া আমাদের সাহসী নিরাপত্তা কর্মীদের আত্মত্যাগের প্রতি আমি প্রণাম জানাই। জাতি তাদের বীরত্ব কখনো ভুলতে পারবে না। তাদের পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা। আমরা শান্তি ও অগ্রগতির এই শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। আহতরা শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠুক।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সন্ধ্যায় টুইট করেছেন, ‘ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় শহীদদের পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা। সাহসী এই শহীদদের আত্মত্যাগ কখনোই ভোলা যাবে না। আহতদের শিগগিরই সুস্থতা কামনা করছি।’

এএস/জেএস