মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তাকে চাপে ফেলতে নতুন আরও এক প্রস্থ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যেসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান জান্তাকে যুদ্ধবিমানে ব্যবহার্য জ্বালানি তেল (জেট ফুয়েল) সরবরাহ করে, সেগুলোকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জান্তাকে জেট ফুয়েল সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন খিন ফিউ উইন এবং জাও মিন তুন। যেসব বিদেশি কোম্পানি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে, সেসবের মধ্যে ৩টির মালিক এই দুই ব্যক্তি।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ট্রেজারি বিভাগ) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও অর্থনৈতিক গোয়েন্দা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার বিদ্রোহ দমনে বিমানবাহিনীর ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করছে। সাধারণ জনগণের বিক্ষোভকে দমন করতে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে। আমাদের এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো— বিমানের জ্বালানির জন্য জন্য জান্তা যেসব উৎসের ওপর নির্ভর করে, সেসব থেকে তাদের বঞ্চিত করা।’

গত ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদ করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী।  সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। অভ্যুত্থানের পর গঠিত সামরিক সরকারের প্রধানের পদেও রয়েছেন তিনি।

এদিকে জান্তার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে মিয়ানমারের গণতন্ত্রীপন্থী জনগণ। সেই বিক্ষোভ দমনে প্রথম দিকে রাবার বুলেট-জলকামান, তারপর আগ্নেয়াস্ত্র এবং বর্তমানে বিমানবাহিনীকে ব্যবহার করছে জান্তা। আন্তর্জাতিক ও  মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসারে জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর সহিংসতায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার মানুষ।

এসএমডব্লিউ