এপ্রিলে মস্কোতে ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। ছবি রয়টার্স।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়ার পরে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের বড় কোনো বিপদের আশঙ্কা করেছিলেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা কয়েকবার প্রকাশ্যে সতর্ক করেছিলেন যে প্রিগোজিন ক্রেমলিনের হাতে নিহত হতে পারেন। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুলাইয়ে বলেছিলেন, আমি যদি প্রিগোজিন হতাম, তবে আমি কী খাচ্ছি তা নিয়েও সতর্ক থাকতাম। আমি সব সময় আমার মেনুতে চোখ রাখতাম।  

সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও বাইডেনের ভাষাতেই কথা বলেছিলেন। বিল বার্নস উল্লেখ করেছিলেন যে পুতিনের প্রতিশোধ নেওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। 

বার্নস জুলাইয়ে বলেছিলেন, আমার অভিজ্ঞতায়, আমি অবাক হব যদি প্রিগোজিনের বিষয়ে কোনো প্রতিশোধ না নেওয়া হয়।  

ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, আমি যদি প্রিগোজিন হতাম, আমি খুব উদ্বিগ্ন থাকতাম। ন্যাটোর একটি ‘ওপেন-ডোর পলিসি’ রয়েছে, আর রাশিয়ার রয়েছে ‘ওপেন-উইন্ডোজ পলিসি।’  

উল্লেখ্য, গেল জুনে রুশ সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া  ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন রাশিয়ায় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাশিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ১০ জনই ছিলেন। রাশিয়া যে ১০ জন নিহতের তালিকা দিয়েছে তাতে ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের নাম রয়েছে। 

৬২ বছর বয়সী এই ভাড়াটে সেনাপ্রধান ২৩-২৪ জুন বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রিগোজিন ইউক্রেন থেকে তার সেনাদের সরিয়ে নিয়েছিলেন, ডনের দক্ষিণ রুশ শহর রোস্তভ দখল করেছিলেন এবং মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

সূত্র : সিএনএন। 

এনএফ