ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার দূরপাল্লার একটি সুপারসনিক বোমারু বিমান ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে ইউক্রেনীয় ড্রোন এই হামলা চালায় এবং তাতে বিমান ঘাঁটিতে থাকা রুশ ওই যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার দূরপাল্লার একটি বোমারু বিমান ধ্বংস হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ওই বিমানটি টুপোলেভ টু-২২ মডেলের একটি সুপারসনিক বোমারু বিমান।

এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিবিসি ভেরিফাই সেগুলো বিশ্লেষণ করেছে। এসব ছবিতে সেন্ট পিটার্সবার্গের দক্ষিণে অবস্থিত সোলটসি-২ বিমানঘাঁটিতে একটি টুপোলেভ টু-২২ বিমানে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে।

মূলত যেসব বিমান শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে উড়তে পারে তাদেরকে সুপারসনিক বিমান বলা হয়। টুপোলেভ টু-২২ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম সুপারসনিক বিমান। ১৯৬২ সালে নির্মিত এই বিমান প্রত্যাশা অনুযায়ী তেমন সফলতা দেখাতে পারেনি।

তবে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের শহরগুলোতে বিমান হামলায় এই বিমানগুলো ব্যবহার করে আসছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।

মস্কো বলেছে, ড্রোন হামলায় একটি বিমান ‘ক্ষতির শিকার’ হয়েছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

বিবিসি বলছে, ধ্বংস হওয়া রাশিয়ান টু-২২ বোমারু বিমানটি শব্দের দ্বিগুণ গতিতে উড়তে পারে এবং ইউক্রেনের শহরগুলোতে আক্রমণ করার জন্য এই বিমান ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।

অন্যদিকে মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শনিবার মস্কোর সময় প্রায় ১০টার দিকে ‘কপ্টার-টাইপ ইউএভি’-র মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে তারা হামলার শিকার স্থানকে ‘নভগোরড অঞ্চলের একটি সামরিক বিমানঘাঁটি’ হিসাবে উল্লেখ করেছে।

মূলত সেখানেই সোলটসি-২ বিমানঘাঁটিটি অবস্থিত। মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘হামলায় একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

হামলার ফলে এয়ারফিল্ড পার্কিং লটে যে আগুন লেগেছিল তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ধ্বংস হওয়া রাশিয়ার টিইউ-২২ সুপারসনিক বিমানটি মূলত স্নায়ু যুদ্ধকালীন বোমারু বিমান। ইউক্রেন ছাড়াও এই বিমানগুলো চেচনিয়া, জর্জিয়া এবং সিরিয়ার যুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছে। 

টিএম