রাশিয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের শস্য সংরক্ষণাগার

ইউক্রেনের একের পর এক বন্দরে লাগাতার আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার এবং বুধবার বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করে এসব বন্দরে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। দানিয়ুব নদীর ওপর বেশ কয়েকটি বন্দর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেও বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার ইউক্রেনের বন্দর ওডেসা থেকে কৃষ্ণসাগরের এক নতুন পথে রওনা হয়েছে ইউক্রেনের মালবাহী বা কার্গো জাহাজ। এই প্রথম কোনও বেসামরিক জাহাজ ওই পথে রওনা দিলো।

বস্তুত, খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ নিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যে চুক্তি হয়েছিল, রাশিয়া তার থেকে সরে এসেছে। চুক্তি পুনর্নবিকরণ করা হয়নি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ওই চুক্তি হয়েছিল দুই যুদ্ধরত দেশের মধ্যে।

রাশিয়া চুক্তি পুনর্নবিকরণ না করায় ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে জাহাজগুলো আফ্রিকার পথে যেতে পারছিল না। কৃষ্ণসাগরের নতুন পথে খাদ্যশস্য নিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার জানিয়েছেন, নতুন এই রুট নিয়ে তারা আশাবাদী। তবে রাশিয়ার নৌসেনা যে কোনও সময় বেসামরিক জাহাজের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি।

এদিকে বুধবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন সেনা ইউক্রেনের যুদ্ধবিমানের পাইলটদের এফ-১৬ বিমানে ট্রেনিং দিলেও আপাতত ওই বিমান হাতে পাওয়া যাবে না। আগামী বছরের আগে বাইডেনের সরকার ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেন যথেষ্ট নিরাশ বলেও জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

বস্তুত, বাইডেন ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মতো ইউক্রেনের পাইলটদের ট্রেনিংও শুরু হয়েছে। কিন্তু নতুন বিমান তৈরি করে তা ইউক্রেনের হাতে তুলে দিতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনের দাবি, আগামী বছরের আগে নতুন বিমান হাতে পাওয়া যাবে না।

টিএম