পূর্ব আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাদীদের হামলায় অন্তত ২৬ সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া সন্ত্রাসীরা গুলি করে একটি সামরিক উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত করেছে।

সেনাবাহিনীর দুটি সূত্র পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, রোববার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে বিমানবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের উদ্ধারে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে একটি হেলিকপ্টার। যেটি গুলির আঘাতে পরবর্তীতে বিধ্বস্ত হয়। তবে ওই হেলিকপ্টারে থাকা আহত সেনা ও ক্রুরা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন সেটি জানাননি তিনি।

সেনা সূত্রটি এএফপিকে হামলার ব্যাপারে বলেছে, জুঙ্গেরু-তেগিনা মহাসড়কে ব্যাপক লড়াইয়ে ‘আমরা ২৩ জন সৈন্যকে হারিয়েছি। এরমধ্যে তিনজন কর্মকর্তাও রয়েছেন। এছাড়া হামলায় তিনজন বেসামরিক মানুষও মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও আটজন।’

দ্বিতীয় সূত্রটিও হতাহতের ব্যাপারে একটি তথ্য জানিয়েছে। তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিমানবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওই হেলিকপ্টারটিতে ১১টি মরদেহ এবং ৭ জন আহত সেনা ছিলেন। হেলিকপ্টারটি সন্ত্রাসীরা গুলি করে ভূপাতিত করে।

নাইজেরিয়ার বিমানবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, সোমবার সকালে তাদের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্তের পরপরই সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।

নাইজেরিয়া এমন একটি দেশ— যেখানে প্রতি সপ্তাহে গোলাগুলি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবেই। আর এসব অপকর্ম করে থাকে উগ্র সশস্ত্র গোষ্ঠীরা। যারা স্থানীয়ভাবে ‘ডাকাত’ নামে পরিচিত।

এসব ডাকাত দুর্গম গ্রাম ও এলাকাগুলোতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি, অপহরণ ও হত্যা করে অর্থ আদায় করে। দেশটির নাইজার, কাদুনা, জাম্ফারা এবং কাটসিনা প্রদেশ এসব ডাকাতের কারণে দিন দিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে।

সূত্র: এএফপি

এমটিআই