তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই-র যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছে চীন। দেশটি হুমকি দিয়েছে তাদের ‘সার্বভৌমত্ব’ রক্ষায় তাইওয়ানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই প্যারাগুয়েতে একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ‘সংক্ষিপ্ত সফর’ করেন। তিনি রোববার (১৩ আগস্ট) নিউইয়র্ক শহরে নেমে সেখানকার ম্যানহাটনের লোটে হোটেলে ওঠেন। তবে এ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি বেইজিং।

লাই নিউইয়র্কে নামার কয়েক ঘণ্টা পরই এ নিয়ে বিবৃতি দেয় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে তারা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো ধরনের সফরের বিরোধিতা করে চীন। লাই তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে এবং তিনি অব্যাহতভাবে সমস্যা সৃষ্টি করছেন।’

আরও পড়ুন>>> স্বাধীনতার দাবি মানেই যুদ্ধ : তাইওয়ানকে চীন

তাইওয়ানের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই কোনো আনুষ্ঠানিক সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাননি। এর বদলে সেখানে ট্রানজিট নিয়েছেন তিনি।  কিন্তু চীন এটিকে আনুষ্ঠানিক সফর হিসেবেই দেখছে। তিনি প্যারাগুয়ে থেকে ফেরার পথে সান ফ্রান্সিসকোতে আবারও ‘সংক্ষিপ্ত বিরতি’ দেবেন।

চীন লাই-র সফরের ব্যাপারে বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘তাইওয়ান চীনের স্বার্থের মূল অংশ। আর তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ তাইওয়ান স্বাধীনতা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর হতে চাচ্ছে।’

বিবৃতিতে দেশটি আরও বলেছে, ‘চীন সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে এবং সার্বভৌমতা ও ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

এদিকে আগামী জানুয়ারিতে তাইওয়ানে নির্বাচন হবে। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। আর তাকে নিয়ে চীন একটু বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ লাই তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষের লোক। চীন সব সময় তাইওয়ানকে তাদের অংশ হিসেবে দাবি করলেও কয়েকদিন আগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে লাই বলেছিলেন, ‘তাইওয়ান চীনের অংশ নয়।’

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই