যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘পাগল’ হয়ে গেছেন বলে মনে করছেন তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও মনে করেন, জো বাইডেনের বিভিন্ন নীতি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছে।

বৃহস্পতিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘জো বাইডেন, যিনি প্রায় নিয়মিত নিজের কথার খেই হারিয়ে ফেলেন, মুক্ত সীমান্তনীতি গ্রহণের মাধ্যমে তিনি আমাদের একসময়ের মহান দেশের সর্বনাশ করেছেন। সীমান্তপথ দিয়ে অভিবাসীরা জোয়ারের মতো আসছে এবং এটি অবশ্যই থামাতে হবে।’

‘যদি আমরা এখনও সচেতন না হই, তাহলে মাত্র একটি মানুষের চিন্তাভাবনা-খেয়ালখুশির কারণে আমাদের দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি (বাইডেন) কেবল বধির এবং অদক্ষই নন… বরং পাগল, পুরোপুরি পাগল একজন মানুষ।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষনেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই নিজেকে অভিবাসীবিরোধী বলে প্রচার করেন। ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি এবং সেই মেয়াদে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের আমলে নেওয়া অধিকাংশ নীতি ও আইন বাতিল করেন জো বাইডেন। সেসবের মধ্যে ট্রাম্পের অভিবাসন আইনও ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭০ লাখেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন সরকার। সেই মামলায় বর্তমানে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাকে।  এছাড়া বিভিন্ন আদালতে আরও বেশ কিছু মামলা চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, তাকে আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য করতেই এসব পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান বাইডেন প্রশাসন। চলতি সপ্তাহের প্রথম সপ্তাহে ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, আগামী নির্বাচনে জিতলে প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রথম দিন থেকেই বাইডেন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেবেন তিনি।

সূত্র : আরটি

এসএমডব্লিউ