দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও সশস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন। রাজধানী কুইতোতে রাজনৈতিক সমাবেশ শেষে তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসোও বুধবার (৯ আগস্ট) এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আগামী ২০ আগস্ট দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এরমাত্র ১০ দিন আগে এক প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ফার্নান্দোসহ মোট ৮ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট লাসসো বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দোর হত্যাকাণ্ডে আমি ক্ষুব্ধ এবং হতবাক। তার স্ত্রী ও কন্যাদের প্রতি আমি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘তার স্মৃতি ও লড়াইয়ের জন্য, আমি নিশ্চিত করছি এই অপরাধের বিচার অবশ্যই হবে। সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু আইনের সবটুকু ভার তাদের ওপর পড়বে।’

প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি জরুরি বৈঠকে দেশের সব উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলবেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৫৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো দেশটির একজন সাবেক আইনপ্রণেতা ছিলেন। তিনি রাজধানী কুইতোতে রাজনৈতিক সমাবেশ শেষ করার পরই গুলিতে প্রাণ হারান। ওই হামলায় আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই