পুরোনো-ভাঙাচোরা যুদ্ধজাহাজ নিয়ে চীন-ফিলিপাইনের দ্বন্দ্ব
বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের একটি প্রবাল প্রাচীরে পড়ে থাকা পুরোনো ও ভাঙাচোরা যুদ্ধজাহাজ নিয়ে আবারও নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে চীন ও ফিলিপাইন।
১৯৯০ সালের দিকে ‘বিআরপি সিয়েরা মাদ্রে’ নামক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি জাহাজ ইচ্ছেকৃতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের প্রবাল প্রাচীরে এনে বসিয়ে দেয় ফিলিপাইন। ওই অঞ্চলে চীনের অগ্রসরের ওপর নজরদারি চালাতেই এটি করেছিল দেশটি। জাহাজটিকে তারা ওই সময় একটি অস্থায়ী ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করত। তবে শুরু থেকেই চীন এটি সরিয়ে নিতে ফিলিপাইনের ওপর চাপ দিচ্ছিল।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বেইজিং আবারও নতুন করে জাহাজটি সরিয়ে নিতে ফিলিপাইনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা দাবি করেছে, ম্যানিলা কথা দিয়েছিল জাহাজটি সরিয়ে নেবে। কিন্তু ২৪ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো এটি সেখানে রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন>>> ফিলিপাইনের জাহাজে পানি ছুড়ে মারল চীনের জাহাজ
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় থোমাস শোল থেকে যুদ্ধাজাহাজটি সরিয়ে নিতে চীন আবারও ফিলিপাইনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। কূটনৈতিকভাবে এই বিষয়ে একাধিকবার ফিলিপাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু চীনের স্বদিচ্ছা এবং আন্তরিকতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ফিলিপাইন বারবার বলেছে প্রবাল প্রাচীরে অবৈধভাবে রাখা যুদ্ধাজাহাজটি তারা সরিয়ে নেবে। ২৪ বছর কেটে গেছে। তারা এটি শুধুমাত্র সরাতে ব্যর্থ হয়নি— উল্টো জাহাজটিতে সংস্কারকার্য চালিয়ে একটি স্থায়ী ঘাঁটি বানানোর চেষ্টা করছে।’
চীনের এমন বিবৃতির পর ফিলিপাইন বলেছে তারা দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বিতীয় থমাস শোল ছেড়ে চলে যাবে না।
এদিকে গত ৫ আগস্ট দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপিনো কোস্টগার্ডের একটি জাহাজে জলকামান থেকে পানি ছুঁড়ে মারে চীনের জাহাজ। এমন ঘটনার তিনদিন পরই চীন ফিলিপাইনকে নতুন করে আবারও ওই যুদ্ধজাহাজটি সরিয়ে নিতে বলেছে। ফিলিপাইনের ওই জাহাজটি সেনাবাহিনীর জন্য রসদ নিয়ে যাওয়া ছোট নৌকাকে পাহাড়া দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
সূত্র: আল জাজিরা
এমটিআই