এক পাকিস্তানি যুবকের প্রতি ভালবাসার টানে চীন থেকে দেশটিতে এসেছেন গাও ফেং নামের এক নারী। বুধবার রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের লোয়ার দির জেলায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রাদেশিক পুলিশ।

লোয়ার দির জেলার পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে জানান, ২১ বছর বয়সী গাও ফেং জাভেদ নামের এক যুবকের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তান এসেছেন। ৩ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ন্যাপচ্যাটে জাভেদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তারপর থেকে ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে তাদের মধ্যে। ১৮ বছর বয়সী জাভেদ প্রদেশের বাজাউর জেলার বাসিন্দা।

পুলিশসূত্রে আরও জানা গেছে, তিন মাসের ভিসা নিয়ে চীন থেকে সড়কপথে গিলগিট ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির (আজাদ কাশ্মির) হয়ে পাকিস্তানে বুধবার ইসলামাবাদে পৌঁছান গাও ফেং। জাভেদ আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে গাওকে নিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী লোয়ার দির জেলার সামারবাগ উপজেলায় নিজের মামার বাড়িতে নিয়ে যান জাভেদ। বর্তমানে সেখানেই আছেন তিনি।

পিটিআইকে জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘তার (গাও ফেং) ভ্রমণসংক্রান্ত নথিপত্রে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি। আমরা তার নিরাপত্তা নিয়ে খুবই সচেতন। আপাতত তাকে বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণেই এই পরামর্শ দিয়েছি আমরা।’

সম্প্রতি অঞ্জু নামের ৩৪ বছর বয়সী এক ভারতীয় নারী নাসরুল্লাহ (২৯) নামের এক পাকিস্তানি যুবকের সঙ্গে ফেসবুক ঘনিষ্টতার সূত্রে রাজস্থান থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া গিয়েছেন। সেখানে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে নাসরুল্লাহকে বিয়েও করেছেন তিনি।

অঞ্জু পাকিস্তানে যাওয়া কিছুদিন আগে সীমা গুলাম হায়দার (৩০) নামের এক পাকিস্তানী নারী তার তিন সন্তানসহ শচীন মিনা (২২) নামের এক ভারতীয় যুবকের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ভারতে আসেন। গত সপ্তাহে রাজধানী নয়া দিল্লির নিকটবর্তী শহর নয়ডার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সীমা ও শচীন উভয়ে জানিয়েছেন, তাদের পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার শুরু হয়েছিল অনলাইন গেম পাবজি খেলতে গিয়ে।

এসএমডব্লিউ