শর্ত ও দাবি-দাওয়া মেনে না নেওয়ায় কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে গেছে রাশিয়া। ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এ চুক্তি হয়। এরমাধ্যমে কৃষ্ণসাগর দিয়ে কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়া যুদ্ধের মধ্যেও আন্তর্জাতিক বাজারে যাচ্ছিল ইউক্রেনের উৎপাদিত শস্য।

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার এ চুক্তিটি রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল তুরস্ক। তার্কিস প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণেই চুক্তিটি হয়েছিল। তবে পশ্চিমারা রাশিয়ার কয়েকটি দাবি মেনে না নেওয়ায় এটি ভেস্তে গেছে।

 

আর এরমধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, চুক্তিটি পুনরায় করতে তারা যেন রাশিয়ার দাবি-দাওয়া গুলো আমলে নেন।

শুক্রবার (২১ জুলাই) এ ব্যাপারে এরদোয়ান বলেছেন, ‘কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি বাতিল বেশ কয়েকটি প্রভাব ফেলবে— দাম বৃদ্ধি থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে অভাব দেখা দেবে— এতে শরণার্থীদের নতুন স্রোত দেখা যাবে।’

গত ১৭ জুলাই রাশিয়া চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ইউক্রেনের বন্দরে আর কোনো জাহাজ আসেনি বা যায়নি।

এরদোয়ান জানিয়েছেন তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শস্যচুক্তি নিয়ে দ্রুত কথা বলবেন এবং তার আশা এতে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।

এরদোয়ান বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলে আমরা এই মানবিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে পারব।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা জানি প্রেসিডেন্ট পুতিনের পশ্চিমাদের কাছে নির্দিষ্ট কিছু চাওয়া আছে। আর এ নিয়ে এসব দেশের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, তাদের দাবি মেনে নিলে এবং সেগুলো কার্যকর করলেই তারা শস্যচুক্তিতে ফিরে আসবেন।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ

এমটিআই