প্রতীকী ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক গ্রামের এক আদিবাসী বৃদ্ধা নারীকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই নারী বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় গিয়ে সুবিচার দাবি করেন।

জানা যায়, ওই গ্রামের এক জ্যোতিষ কয়েকজন বাসিন্দাকে তাদের গ্রামে একজন ডাইনি রয়েছে বলে জানান। এর পরই বাসিন্দারা গ্রামে ফিরে এসে প্রায় ৭০ বছরের এক আদিবাসী নারী ও তার মেয়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। ওই নারীর মাথার চুল ও চামড়া ধারাল ব্লেড দিয়ে কাটার পরে তাদেরকে শুইয়ে তাদের বুকের ওপরে বসে তাদের নাক টিপে ধরে মল, মূত্র খাওয়ানো হয়।

এখানেই অত্যাচারের শেষ নয়। বিষাক্ত কাঁটার ওপরে তাদেরকে প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় বসতে বাধ্য করা হয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে অমানবিক অত্যাচারের পরে তাদের কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের গ্রামছাড়া করা হয়। 

এই ঘটনার কথা জানতে পেরে ভারত জাকাত পরগণা মহল নামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিরা ওই বৃদ্ধা নারী ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ান। 

নির্যাতনের শিকার ওই নারী বলেন, ‘ডাইনি অপবাদ দিয়ে আমাকে ও মেয়েকে খুব মারধরের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মল মূত্র জোর করে খাওয়ালো। আমাকে এমন মারল আমি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম। আমার কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিলো। আমি চাই ওদের চরম শাস্তি হোক।’

আদিবাসী সংগঠনের নেতা লেবু হেমব্রম বলেন, একশ্রেণির তান্ত্রিকরা ডাইনি বলে গ্রামের মানুষদের উসকে দিয়ে এই কুসংস্কারকে বাঁচিয়ে রাখছেন। অমানবিক অত্যাচার হয়েছে এই বৃদ্ধা নারী ও তার পরিবারের ওপর। তাদেরকে মারধরের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরছাড়া, গ্রামছাড়া করা হয়েছে। আমরা তাই প্রশাসনের কাছে এসেছি সুবিচারের জন্য। যদি দোষীরা শাস্তি না পায় আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামব।

এমএ