এক রাতে ইউক্রেনের ২৮ ড্রোন ভূপাতিত করল রাশিয়া
ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একে একে ২৮টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রাশিয়া। এই ২৮টি ড্রোনই ইউক্রেনের এবং এক রাতেই সেগুলো ভূপাতিত করা হয়। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বাহিনী ক্রিমিয়ায় এক রাতে ২৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে মঙ্গলবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাতের আঁধারে ইউক্রেনের বাহিনীর পাঠানো ১৭টি ড্রোন ‘ধ্বংস’ করা হয়েছে এবং আরও ১১টি ড্রোন ইলেকট্রনিক পন্থায় ‘দমন’ করা হয়েছে। এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া ক্রিমিয়ার রাশিয়ান-নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভও টেলিগ্রামে বলেছেন, রাতে ২৮টি ড্রোন ভূপাতিত বা ধ্বংস করা হয়েছে। এতে কোনো হতাহত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর ৫০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এই সংঘাত চলছে। তবে রাশিয়ার কবল থেকে নিজেদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অঞ্চল দখলমুক্ত করার জন্য ইউক্রেন গত মাসে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে।
ইউক্রেন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলা বেড়েছে। ২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ মস্কোর এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি।
কিয়েভ বারবার বলেছে, তারা এই উপদ্বীপটি ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার ভোরে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম সড়ক ও রেল সেতুতে ইউক্রেনের হামলার ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনের হামলায় দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং তাদের শিশু সন্তান আহত হয়।
ইউক্রেন অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে রাশিয়া ওই হামলার জন্য ইউক্রেনকেই দোষারোপ করেছে। আর এরপরই একরাতে ইউক্রেনের ২৮টি ড্রোন ভূপাতিত করল রাশিয়া।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখলে নিয়েছিল রাশিয়া। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ মস্কোর এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি।
এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে, রুশ বাহিনী কৃষ্ণসাগরের এই উপদ্বীপটি দখল করার পর সেখানে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানেই দেখা গেছে, ক্রিমিয়ানরা সত্যিকার অর্থেই রাশিয়ার অংশ হতে চায়। যদিও সেই গণভোটকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ স্বীকৃতি দেয়নি।
টিএম