যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান ভূপাতিতের হুমকি দেওয়ার একদিন পরই একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, বুধবার (১২ জুলাই) পিয়ংইয়ং তাদের পূর্ব উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। যেটিকে ‘অজ্ঞাত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ হিসেবে অবহিত করেছেন দক্ষিণের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ।

পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত সোমবার দাবি করে, কোরিয়ান উপদ্বীপে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে গোয়েন্দা বিমান দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, এ গোয়েন্দা বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হবে।

এছাড়া ওইদিনই প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং জানান, তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের কাছে আসার সময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা বিমানকে রুখে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোরিয়ান উপদ্বীপে মার্কিনিদের পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন পরিকল্পনারও সমালোচনা করেন তিনি।

জাপানের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা উত্তরের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করতে সমর্থ হয়। সমুদ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫৫০ কিলোমিটার উড়ে এসে; সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের ঠিক বাইরে এসে আছড়ে পড়ে।

জাপানের মন্ত্রীপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার বিষয়টিকে ‘গুরুতর উস্কানি’ এবং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ‘ভঙ্গ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, চীনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার কাছে কঠোর প্রতিবাদ বার্তা পাঠানো হয়েছে।

পারমাণবিক কার্যক্রম চালানোর কারণে— উত্তর কোরিয়ার ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে জাতিসংঘ। তবে এসব নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না দেশটি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি এ বছর উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ১২তম ক্ষেপণাস্ত্র।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই