২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারি : ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন—যতদিন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন, নিজের ব্যক্তিত্বের প্রভাব দিয়ে ততদিন বিশ্বকে যুদ্ধমুক্ত রেখেছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন,জো বাইডেনের পরিবর্তে তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকতেন— সেক্ষেত্রে যুদ্ধ বাঁধার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা থামিয়ে দিতে পারতেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যতদিন আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলাম, নিজের ব্যক্তিত্বের প্রভাব দিয়ে বিশ্বকে যুদ্ধমুক্ত রাখতে পেরেছি। আজ যদি আমি প্রেসিডেন্ট থাকতাম, সেক্ষেত্রে হয়তো ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধই বাঁধতো না। পুতিন কখনও রুশ বাহিনীকে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দিতেন না।’
বিজ্ঞাপন
‘এমনকি আমি জোর দিয়ে বলছি, এখনও যদি দেশের প্রেসিডেন্ট হই— সেক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারব। সেই ক্ষমতা ও যোগ্যতা আমার আছে। কী ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চলছে ইউক্রেনে! একের পর এক শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবিসি নিউজ। মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমকে জেলেনস্কি বলেন, ‘তার যুদ্ধ বন্ধ করার ইচ্ছাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে তাকে আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন— তখন থেকেই কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের তিক্ততা চলছিল এবং চাইলে তিনি সেই তিক্ততার অবসান ঘটাতে পারতেন। কিন্তু সে সময় তিনি এই ইস্যুর পরিবর্তে অন্যান্য আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারি দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরা এজন্য প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমালোচনাও করেছেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের অর্থ ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যতদিন যুদ্ধ শেষ না হয়— ততদিন এই সহায়তার প্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে সোচ্চার। রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের মতে, এই যুদ্ধ একদিকে যেমন বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা উস্কে দিচ্ছে— তেমনি অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে।
এসএমডব্লিউ