যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনায় মার্কিন গোয়েন্দা বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকিও দিয়েছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়ে উত্তরের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ফ্লাইট উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে সোমবার অভিযোগ তুলেছে দেশটি। একইসঙ্গে এই বিষয়ে সতর্ক করে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বলেছে, পিয়ংইয়ং সংযম অনুশীলন করলেও আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় এই জাতীয় ফ্লাইটগুলো গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক সংঘাতের কাছাকাছি নিয়ে আসছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

রয়টার্স বলছে, প্রতিবেদনে মার্কিন নজরদারি প্লেন ও ড্রোন ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, কোরীয় উপদ্বীপের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়ে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে ওয়াশিংটন।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র বলেছেন, ‘কোরিয়ার পূর্ব জলসীমায় মার্কিন বিমান বাহিনীর কৌশলগত নজরদারি প্লেন ভূপাতিত করার মতো মর্মান্তিক কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।’

বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার সাথে দক্ষিণের সীমান্তে এবং উপকূলের কাছে মার্কিন বিমানকে গুলি করে নামানো বা বাধা দেওয়ার মতো অতীতের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া প্রায়ই উপদ্বীপের কাছে মার্কিন নজরদারি ফ্লাইট সম্পর্কে অভিযোগ করে এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের দাবি সত্য নয়। তারা বলেছে, মার্কিন বিমান নজরদারি সরঞ্জামগুলো কোরীয় উপদ্বীপের চারপাশে নিয়মিত নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।

এছাড়া মার্কিন মিত্র দেশগুলো উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ড নিরীক্ষণের জন্য একসাথে কাজ করে বলেও জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।

টিএম