রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ বোমা ইউক্রেনের মাটিতে এসে পৌঁছাবে।

তবে বেসামরিক মানুষ হতাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকায়— বিশ্বের ১২০টি দেশে ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মার্কিনিরা ইউক্রেনকে এ বোমা দিচ্ছে।

যেভাবে ক্লাস্টার বোমা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে

ক্লাস্টার বোমা রকেট সদৃশ একটি কাঠামোর ভেতর থাকে। এ বোমা বিমান, কামান ও রকেট লঞ্চার থেকে ছোঁড়া যায়।

ক্লাস্টার বোমা যখন ছোঁড়া হয় তখন এর ভেতর থাকা ছোট ছোট বোমা ছড়িয়ে যায় এবং এগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

তবে ছোট ছোট এসব বোমার সবগুলো তাৎক্ষণিভাবে বিস্ফোরিত নাও হতে পারে। ফলে যুদ্ধের সময়; এমনকি যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এগুলো বিস্ফোরিত হয়ে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে।  

কিভাবে এই ক্লাস্টার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে সেটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের এ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিমান থেকে বোমাটি ছোঁড়া হয়েছে। যা নিচের দিকে আসতে থাকে। এরমধ্যেই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়ে ছোট ছোট বোমাগুলো বেরিয়ে আসে। তখন এগুলো নিচে আছড়ে পড়ে অসংখ্যবার বিস্ফোরণ ঘটায়। 

যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের ক্লাস্টার বোমা দিচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনীয়দের যে ধরনের বোমা দিচ্ছে, সেটি হাউইটজার কামান থেকে ছোঁড়া যাবে। ১৫৫ মিলিমিটার এ ক্লাস্টার বোমার ভেতর ছোট ছোট ৮০টি বোমা রয়েছে।

ইউক্রেনীয় সেনাদের ঠেকাতে রুশ সেনারা যেসব জায়গায় পরিখা খনন করেছে, সেসব জায়গায় এ বোমা  ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা।

ক্লাস্টার বোমা নিয়ে যা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস্টার বোমা চাইলেও, এটি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গত সপ্তাহে দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কিয়েভকে ঝুঁকিপূর্ণ এ বোমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এতে সম্মতি জানান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাইডেন। এতে তিনি এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘এ সিদ্ধান্ত নিতে আমার সময় নিতে হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনীয়দের অস্ত্র ফুরিয়ে আসায় আমাকে এটি করতে হয়েছে।’

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই