ঘরের বাইরেও গরম, ঘরের ভেতরেও গরম। জুনের শুরুর কথা মনে আছে নিশ্চয়! শরীর জুড়াবে এরকম একটু বাতাসও ওই সময় বইতে দেখা যায়নি। দিনের বেলা থাকত কাঠফাঁটা রোদ, আর রাতের বেলা গুমোট একটা আবহাওয়া।

তবে শুধু বাংলাদেশ নয়— ওই সময় পুরো বিশ্বের উপর দিয়েই বয়ে যায় তীব্র দাবদাহ। আর এবারের জুনের প্রথম দিকে যে গরম পড়েছিল— তা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জলবায়ু মনিটরিং সংস্থা।  

ইইউর কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সি3এস) উপপরিচালক সামান্থা বারগেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশ্ব জুনের প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে উষ্ণতম সময় প্রত্যক্ষ করেছে।’

সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘ইআরএ৫ ডাটায় যে তথ্য রয়েছে, সেটি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুনের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল।’

ইআরএ৫ ডাটায় থাকা তথ্যগুলোর কিছু কিছু ১৯৪০ সালেরও আগের।

তীব্র দাবদাহের পর জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা কমা শুরু হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রায় যে স্বল্পকালীন বৃদ্ধি দেখা গেছে, তা ইঙ্গিত করছে সামনে আরও দাবদাহ দেখা যাবে। কারণ বিশ্ব ইতোমধ্যেই এল নিনো ধাপে প্রবেশ করেছে। যা আগামী কয়েক বছর বিদ্যমান থাকবে। আর এ সময়ে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে দেখা যাবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু বিষয়ক এ সংস্থাটির গবেষকরা জানিয়েছেন, শিল্পপূর্ব যুগে বিশ্বে যে তাপমাত্রা ছিল, এবার জুনের প্রথম সপ্তাহে সেটি থেকে তাপমাত্রা প্রথমবারের মতো ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে দেখা গেছে।

সংস্থাটির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ থেকে ১১ জুন গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল। আর গত ৮ ও ৯ জুন যে গড় তাপমাত্রা ছিল তা গত বছরের ঠিক একই দিনের তাপমাত্রার চেয়ে ০ দশমিক ৪ ডিগ্রি বেশি ছিল।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই