টোঙ্গার কাছে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গার কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার (১৬ জুন) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬৭ কিলোমিটার গভীরে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গার কাছে ৭.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হনেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।
সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল টোঙ্গার প্রায় ২৮০ কিলোমিটার (১৭৪ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে। আর ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬৭.৪ কিলোমিটার (১০৪ মাইল) গভীরে।
মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ সংস্থা দ্য ইউএস সুনামি ওয়ার্নিং সিস্টেম বলেছে, ভূমিকম্পের জেরে মার্কিন পশ্চিম উপকূল, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বা আলাস্কায় সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অব মেটিওরোলজি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায়ও সুনামির কোনও হুমকি নেই।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) প্রাথমিকভাবে ফিজি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের কাছে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে রিপোর্ট করেছে।
এর আগে গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে টোঙ্গায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২১০ কিলোমিটার গভীরে। অবশ্য শক্তিশালী সেই ভূমিকম্পের জেরে সেসময়ও কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির সমুদ্রতলের আগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের পর অগ্নুৎপাত শুরু হয়। অগ্নুৎপাতের কারণে দেশটিতে সুনামিও আঘাত হানে। এতে টোঙ্গায় এক ব্রিটিশ নাগরিকসহ অন্তত তিনজন নিহত হন।
সেই সময় টোঙ্গায় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় হাজার মাইল দূরের যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডেও। এছাড়া টোঙ্গায় সমুদ্রের তলদেশে অগ্নুৎপাতের কারণে পেরুর রাজধানী লিমার কাছের সমুদ্র সৈকতেও হঠাৎ অস্বাভাবিক পানির ঢেউয়ের তোড়ে সেসময় দু’জন ভেসে যান।
অগ্নুৎপাত এবং সুনামির আঘাতের পর থেকে প্রায় প্রত্যেকদিনই টোঙ্গায় ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে বলে সেসময় জানিয়েছিল ইউএসজিএস।
টিএম