করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই নিজেদের দ্বিতীয় টিকা আনতে পারে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থাটির তৈরি দ্বিতীয় টিকার নাম ‘কোভোভ্যাক্স’। শনিবার (২৭ মার্চ) টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় একথা জানিয়েছেন সিরামের সিইও আদর পুনেওয়ালা।

গত বৃহস্পতিবার থেকে ভারতে ‘কোভোভ্যাক্স’ টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। করোনার ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের বিরুদ্ধে এই টিকা ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি সিরামের।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্য়োগে তৈরি টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর উৎপাদন করছে সিরাম। চলতি বছরের জুনেই তাদের দ্বিতীয় টিকা ‘কোভোভ্যাক্স’ প্রয়োগের জন্য তৈরি হয়ে যাবে বলে এর আগে আশা প্রকাশ করেছিলেন আদর। তবে তা পিছিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

শনিবার টুইটে আদর পুনেওয়ালা বলেন, ‘অবশেষে ভারতে কোভোভ্যাক্সের ট্রায়াল শুরু হল। নোভাভ্যাক্স এবং সিরামের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই টিকা কোভিডের দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রিটেনের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে ৮৯ শতাংশ কার্যকর। আশা করি সেপ্টেম্বরেই এটি সরবরাহ করা যাবে।’

সিরাম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে পুনের একটি হাসপাতালে ‘কোভোভ্যাক্সে’র পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পুনে ছাড়া দিল্লির গবেষণাগারে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে ভারতের ১৯টি জায়গায় এক হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবককে এই টিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে সিরাম।

সংস্থার দাবি, ব্রিটেনে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে করোনার বিরুদ্ধে ৯৬ শতাংশ কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে ‘কোভোভ্যাক্স’। তবে করোনার ব্রিটিশ ধরনের বিরুদ্ধে এটি ৮৬ দশমিক ৩ শতাংশ কার্যকরী বলে জানা গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের সঙ্গে লড়াইয়ে এর সাফল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশে। যদিও সামগ্রিক ভাবে এটি ৮৯ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে সিরাম।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র কাছে এই টিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আবেদন করেছিল সিরাম ইনস্টিটিউট। চলতি সপ্তাহে সেই ট্রায়াল শুরু হয়েছে।

টিএম