প্রিন্স হ্যারি-মেগানের বিচ্ছেদের গুঞ্জন
যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি ও তার আলোচিত স্ত্রী মেগান মারকেলের মধ্যে বিচ্ছেদ হতে পারে বলে গুঞ্জন ওঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক মেগান ক্যালি জানিয়েছেন, এই গুঞ্জনটি ‘সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা’ আছে।
পাঁচ বছর আগে অনেকটা নিজ ইচ্ছায় মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মারকেলকে বিয়ে করেন প্রিন্স হ্যারি। মেগানের সঙ্গে ঘর বাঁধার পর নিজ পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয় হ্যারির। এমনকি একটা সময় সব রাজ দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি।
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহে পরিচয় গোপন রেখে একটি সূত্র প্রথমে এ খবরটি সামনে আনে। সূত্রটি জানায়, মেগানের সঙ্গে পঞ্চম বিয়ে বার্ষিকীর আগে হ্যারি একজন ডিভোর্স আইনজীবিকে ডাকেন।
আর ওই সূত্রটি ব্রিটিশ রাজ পরিবারের খুব কাছের ব্যক্তি।
মেগান ও হ্যারির মধ্যে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের বিষয়টি অনেকের কাছে বেশ বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে। তবে তাদের মধ্যে অনেকদিন ধরেই একটা দূরত্ব চলছে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
কারণ গত ১৯ মে তাদের পঞ্চম বিবাহ বার্ষিকী ছিল। কিন্তু এদিন এ নিয়ে কোনো কথাই শোনা যায়নি। তাদের কেউই একটি ছবিও প্রকাশ করেননি বা শুভেচ্ছা বার্তাও পাঠাননি। এছাড়া গত বছর বড় দিনেও কোনো পারিবারিক ছবি প্রকাশ করেননি এ যুগল।
এ বছরের জানুয়ারিতে প্রিন্স হ্যারি তার বিতর্কিত আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশ করেন। এই আত্মজীবনীর প্রায় সব প্রচার-প্রচারণার কাজ একাই করেছেন হ্যারি। তার সঙ্গে মেগানকে একবারের জন্যও দেখা যায়নি।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, প্রিন্স হ্যারি এখনই মেগানের কাছ থেকে আলাদা থাকা শুরু করেছেন। তিনি বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হোটেল রুমে থাকছেন।
আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মেগানও হ্যারির কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন। এখন তিনি তার দুই সন্তানের অভিভাবকের দায়িত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রিন্স হ্যারি মেগানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিষেদাগার করে এ দুজন অনেক জায়গায় কথা বলেছেন, ডকুমেন্টারি তৈরি করেছেন। কিন্তু তারা আর এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, নতুন করে বলার মতো আর কিছু নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রিন্স হ্যারিই এগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ তাকে আগে বা পরে আবারও নিজ পরিবারের কাছেই ফিরতে হবে।
সূত্র: খালিজ টাইমস, স্কাই নিউজ এইউ
এমটিআই