প্রতীকী ছবি

বিয়ের কিছু দিন পরই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল স্বামীকে। পরে তিনি হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৭ বছর। এখনও জেলে বন্দি রয়েছেন সেই ব্যক্তি। এবার তার প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

কারণ হিসেবে দাবি করেছেন, মা হতে চান তিনি। আর সে জন্যই তার স্বামীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হোক। ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। বুধবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৭ বছর ধরে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহরের সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন এক ব্যক্তি। সম্প্রতি ওই ব্যক্তির স্ত্রী তার স্বামীর জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেছেন। আবেদনে ওই নারী উল্লেখ করেছেন, তিনি একটি বাচ্চা চান এবং তাই তার স্বামীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হোক।

ইন্ডিয়া টুডে বলছে, জেলে বন্দি ওই ব্যক্তির নাম দারা সিং জাটাভ। শিবপুরি থেকে আসা ওই নারী ও তার পরিবার গোয়ালিয়র জেল কর্তৃপক্ষের কাছে বলেছে, দারা সিং জাটাভকে তার বিয়ের পরপরই একটি হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

সংবাদমাধ্যম বলছে, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র সেন্ট্রাল জেলে বন্দি স্বামীকে প্যারোলে মুক্ত করতে তার স্ত্রী সম্প্রতি আবেদন করেছেন। প্যারোলে মুক্ত হতে চাইলে আবেদনের সময় নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হয়। জেলবন্দি ব্যক্তির স্ত্রীও সেই আবেদন জানিয়েছেন এবং সেখানে কারণ হিসাবে তিনি লিখেছেন, মা হতে চাইছেন তিনি। সে জন্যই তার স্বামীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হোক।

মূলত বিয়ের পরপরই গ্রেপ্তার হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে দারা সিংয়ের স্ত্রীকে থাকতে হয়েছিল স্বামী ছাড়াই। আর তাই বিয়ের সাত বছর হয়ে গেলেও সন্তান নেওয়ার সুযোগ হয়নি। সে জন্যই এই আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দারার পরিবার।

কারাগারে বন্দি দারা সিং জাটাভের বাবা করিম সিং জাটাভ জানিয়েছেন, সাত বছর আগে পুলিশ যখন তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে তখন তার পরিবার (ছেলের) বিয়ের উৎসবও করতে পারেনি। করিম সিং আরও বলেন, তিনি এবং তার অসুস্থ স্ত্রী একটি নাতি চান, আর এর জন্যই তারা তাদের ছেলেকে কিছু দিনের জন্য জেল থেকে বের করতে চান।

ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বন্দি দারা সিং জাটাভের প্যারোলে মুক্তির আবেদনপত্র বিবেচনার জন্য শিবপুরির এসপির কাছে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এই বিষয়ে গোয়ালিয়র সেন্ট্রাল জেলের সুপারিনটেনডেন্ট বিদিত সিরভাইয়া বলেছেন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যে কোনও বন্দি তার বন্দিত্বের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পরে প্যারোল মুক্তি পাওয়ার অধিকার রাখেন। অবশ্য সেক্ষেত্রে অন্য বন্দিদের এবং জেল কর্তৃপক্ষের সাথে তার আচরণ ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হতে হবে।

সিরভাইয়া আরও বলেছেন, কোনও বন্দির প্যারোল মঞ্জুর করা বা না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জেলা কালেক্টর।

টিএম