ভাগ্য ফেরানোর আশায় কিনেছিলেন লটারির টিকেট। ভাগ্যও তাকে খালি হাতে ফেরায়নি। নিজের কেনা লটারির টিকেটে পেয়ে যান প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু এরপরও তিনি যেন রিক্ত হস্ত। কারণ মহা মূল্যবান ওই টিকেট যে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

অবশেষে ভাগ্য ফিরেছে, ফিরেছে সেই টিকেটও। লটারির মহা মূল্যবান ওই টিকেটটি তিনি খুঁজে পেয়েছেন গাড়ি পার্কিং করার জায়গায়। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের স্পার্টা শহরে।

টেনেসি এডুকেশন লটারি’র বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, গত ১১ মার্চ একটি লটারি জেতার কথা জানতে পারেন টেনেসি অঙ্গরাজ্যের স্পার্টা শহরের বাসিন্দা নিক স্লাটেন। লটারির ড্র-তে নির্বাচিত ওই টিকেটের অর্থমূল্য ছিল ১১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪৬ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা)। টিকেটটি ছিল নিক স্লাটেনের।

মাত্র একদিন আগে অর্থাৎ গত ১০ মার্চ স্থানীয় একটি মুদি দোকান থেকে টিকেটটি কিনেছিলেন স্লাটেন। পরেরদিনই লটারির ড্র-তে প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার জিতে নেন তিনি। লটারি জয়ের অনুভূতি জানাতে গিয়ে এপিকে স্লাটেন বলেন, ‘আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।’

আনন্দের এই খবরটি জানাতে নিজের বাগদত্তার কর্মস্থলে ছুটে যান তিনি। পরে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ির একটি অংশ কেনাসহ আগে থেকে ঠিক করে রাখা আরও কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করার দিকে মনোযোগ দেন তিনি। মাঝে এক রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন দুপুরের খাবার খেতে।

ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই স্লাটেন বুঝতে পারেন লটারিতে প্রায় ১২ লাখ ডলার জেতা টিকেটটি হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। অতি আনন্দ থেকে তিনি হয়ে পড়েন বিমর্ষ, আতঙ্কিত। কারণ লটারিতে লেখা ছিল- টিকেটটা যার হাতে থাকবে, পুরস্কার হিসেবে এর অর্থ সেই ব্যক্তিই দাবি করতে পারবেন; এতো আরও চিন্তিত হয়ে পড়েন স্লাটেন।

কী করবেন-কী করা উচিত; কিছুই ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেন- সারা দিনে যেখানে যেখানে গিয়েছেন, টিকেট খুঁজতে ঠিক সেসব জায়গায় আবারও যাবেন তিনি। সব শেষে যান গাড়ির সেই যন্ত্রাংশের দোকানে। সেখানেই দোকানের সামনে গাড়ি পার্কিং করে রাখার স্থানে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন প্রার্থিত সেই টিকেটটি।

আবারও আনন্দ খেলে যায় নিক স্লাটেনের চোঁখে-মুখে। তিনি বলেন, ‘এটা মিলিয়ন ডলার টিকেট। আর কেউ হয়তো না জেনেই এর ওপর পা দিয়ে হেঁটে চলে গেছে।’

অবশেষে টিকেটটা তো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলেন স্লাটেন। দাবি করেছেন পুরস্কারের অর্থও। তবে কী করবেন এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে, তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাই বা কী?

এর উত্তরে স্লাটেন বলছেন, তিনি ও তার বাগদত্তা লটারি থেকে পাওয়া এই অর্থ কাজে লাগাবেন। এখনকার থেকে আরও ভালো নতুন একটি গাড়ি কিনবেন, তাদের বসবাসের জন্য কিনবেন নতুন একটি বাড়িও। ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু অর্থ বিনিয়োগ করবেন বলেও জানান তিনি।

স্লাটেন ও তার বাগদত্তার আশা, ‘(আর্থিক) কোনো ধরনের চিন্তা ছাড়াই’ জীবন পার করবেন তারা।

সূত্র: এপি

টিএম