বিদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সৌদির ৬টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এগুলো হলো জেদ্দা, মদিনা, রিয়াদ, দাম্মাম, তাইফ এবং ইয়ানবু বিমানবন্দর।  

শতাধিক শিডিউলড ফ্লাইটে বিশ্বের ১৪টি দেশ থেকে হজযাত্রীদের আনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সৌদির জাতীয় বিমান পরিষেবা সংস্থা সাউদিয়া’কেও। সাউদিয়ার ১৭৬টি উড়োজাহাজের মোট ১২ লাখ আসন বরাদ রাখা হয়েছে বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য।

ফ্লাইটে হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য হজ ও উমরাহ বিষয়ক ই-বুক বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদির সরকার। ১৪টি আলাদা আলাদা ভাষায় বইটি প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়া হজযাত্রীর চাপ সামাল দিতে ৮ হাজার নতুন ক্রু নিয়োগ দিয়েছে সাউদিয়া। এরা প্রত্যেকেই আরবির পাশাপাশি একাধিক ভাষায় দক্ষ। হজযাত্রীবাহী ফ্লাইটগুলোতে বিভিন্ন ইসলামিক কন্টেন্টের ভিডিও প্রদর্শন ও সার্বক্ষণিক কুরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

এছাড়া নতুন যারা হজে যাচ্ছেন, ফ্লাইটে হজের আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াকর্ম পালন, ও লাগেজ পরিবহন সংক্রান্ত প্রাথমিক বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে সাউদিয়া। ৪২টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় দেওয়া হবে এই নির্দেশনা।  

ইসলাম ধর্মের ৫টি মূল স্তম্ভের একটি হলো হজ। ইসলামের বিধি অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থ্যবান মুসলিম নরনারীর জন্য হজ করা ফরজ বা অত্যাবশ্যকীয়।

তবে হজ সারাবছর করা যায় না। আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ মাস জিলহজের ৮ তারিখ শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা, শেষ হয় ১০ তারিখ— কোরবানি ঈদে পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে। চাঁদের সাপেক্ষে চলতি বছর ২৭ বা ২৮ জুন শুরু হবে হজ।

বিভিন্ন দেশ থেকে হজের প্রথম দিককার ফ্লাইটগুলো সৌদি আরবে গিয়ে পৌঁছানো শুরু করবে ২১ মে থেকে। শুরুর দিকের হজযাত্রীদের স্বাগত জানানো হবে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুলাজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

এসএমডব্লিউ