কয়েক দফা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ। ২০১৪ সালে বিনা রক্তপাতে ইউক্রেনের কাছ থেকে উপদ্বীপটি অধিগ্রহণ করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগকৃত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার (৭ মে) উপদ্বীপটিতে অন্তত ১০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

ক্রিমিয়ায় এমন সময় বড় হামলার খবর জানা গেল যখন জাতিসংঘের পরমাণু প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার দখলকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এছাড়া রুশ ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন দোনেৎস্কের বাখমুত থেকে তার সেনাদের প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছেন।

রুশ কর্মকর্তা ও সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালানোর পরই সেগুলো প্রতিহতে কাজ শুরু করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনটি ড্রোন ক্রিমিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সেভাস্তোপোলে আঘাত হানে।

তবে এসব হামলা ‘কোনো অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি’ বলে দাবি করেছেন ক্রিমিয়ার গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ।

রাশিয়ার আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট বাজা থেকে করা একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, রোববারের হামলায় কেউ হতাহত হননি এবং কোনো অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এছাড়া ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও হামলা চালানোর ব্যাপারে কোনো কিছু বলা হয়নি।

রাশিয়ার সেনাদের হটিয়ে দিতে কয়েকদিন ধরেই পাল্টা আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। আর এ সম্ভাব্য অভিযানের আগে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড এবং অধিকৃত অঞ্চলগুলোর একাধিক জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই