কর্নাটকে বিধানসভার নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হাঁটছে রাজনৈতিক দলগুলো।

ক্ষমতায় গেলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে মুসলিমদের দৃষ্টি কাড়ার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। আর পাল্টা কৌশলে নির্বাচনী জনসভা ‘বজরংবলীর জয়’ বলে শুরু করে হিন্দু ভোটকে কাছে টানতে উদ্যোগী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কর্নাটকে উন্নয়ন ছেড়ে ক্রমশ হিন্দুত্বে ঝুঁকছে বিজেপি। বিশেষ করে কংগ্রেসের ইশতেহারে বজরং দল নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতির পরেই হিন্দু সমাজের আবেগকে কাজে লাগাতে মেরুকরণের রাজনীতি আরও তীব্র করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি।

গতকাল জনসভায় জয় বজরংবলী বলে ভাষণ শুরু করে মোদি বলেন, অতীতে কংগ্রেসের সমস্যা ছিল রামকে নিয়ে! এখন যারা বজরংবলীর জয় বলেন, তাদের নিয়ে সমস্যা হচ্ছে কংগ্রেসের। 

কর্নাটকে বিজেপির ক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন। ফলে ধর্মী মেরুকরণ ঘটিয়ে ভোট ব্যাংকে বিভাজনের কৌশল নিয়েছে তারা। সে কারণেই হিন্দুত্ব ও জাতীয়তাবাদ নিয়ে সরব হয়েছেন মোদি।  

কংগ্রেসের ‘দেশবিরোধী’ মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোদি বলেন, অতীতে ক্ষমতায় এসেই সন্ত্রাসে জড়িতদের মুক্তি দিতে উদ্যোগী হয়েছিল কংগ্রেস।  জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে ঘুরিয়ে রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, সেনাদের কৃতিত্ব নিয়ে এক সময়ে প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতারা বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে বিদেশের মাটিতে দেশকে অপমানে ব্যস্ত। 

এনএফ