‘শেনজেনের মতো ভিসা’ চালু করছে সৌদি-আমিরাত
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো। বিকাশমান এই পর্যটন খাতকে আরও এগিয়ে নিতে ‘শেনজেন ধাঁচের ভিসা’ চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলের তিন দেশ— সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।
যদি এই ‘শেনজেন ধাঁচের ভিসা’ চালু হয়— সেক্ষেত্রে পর্যটকরা এই বিশেষ ভিসার আওতায় উপসাগরীয় অঞ্চলের এই তিনটি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন, আলাদা করে অন্য ভিসার কোনো প্রয়োজন তাদের পড়বে না।
বিজ্ঞাপন
গত ১ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শুরু হয়েছে আরব ভূখণ্ডের দেশগুলোর পর্যটন বাণিজ্য সংক্রান্ত জোট অ্যারাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেটের (এটিএম) সম্মেলন ও মেলা। বুধবার সেই আয়োজনে এ ঘোষণা দেন বাহরাইনের পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী ফাতিমা আল সাইরাফি। এ সময় তার সঙ্গে আমিরাত সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি প্রিন্স আবদুল্লাহ আর সালেহ এবং সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষের (সৌদি ট্যুরিজম অথরিটি— এসটিএ) শীর্ষ নির্বাহী ফাহাদ হামিদাদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ফাতিমা আল সাইরাফি বলেন, ‘(পর্যটন খাতে) আমাদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাদে তাই উপসাগরীয় অঞ্চলভূক্ত দেশগুলোকে একত্রিত করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। ২০২২ সালে আমরা ৯৯ লাখ পর্যটক পেয়েছি। কীভাবে এটা সম্ভব হলো?’
‘এটা সম্ভব হলো এই কারণে যে আমরা গত বছর বাহরাইনকে জিসিসি জোটের অন্যান্য গন্তব্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে পেরেছিলাম।’
২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল আসরের সময় বিদেশি দর্শকদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প শুরু করেছিল উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল। গত বছর বাহরাইনে পর্যটকের উল্লম্ফণ ঘটেছিল মূলত সেই সময়েই।
জিসিসির সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা মোট ৬টি— সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন এবং ওমান। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ফাতিমা আল সাইরাফি জানান, আপাতত সৌদি আরব, আমিরাত ও বাহরাইনে ‘শেনজেন ভিসা’ চালু হচ্ছে। পরে জিসিসির অন্যান্য সদস্যদেরও এই প্রকল্পে যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে তাদের।
সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ হামিদাদ্দিন বলেন, জিসিসি-ভুক্ত দেশ - সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইন পৃথক গতিতে ভিসা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ভিসা নীতি প্রণয়ন 'সঙ্গত কারণেই বেশ জটিল'।
তবে পারস্পরিক সহযোগিতাই এক্ষেত্রে পরিবর্তনের দিকপাল হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি জিসিসি-ভুক্ত দেশের সফলতা অন্য দেশগুলোর সহায়ক হবে।
এসএমডব্লিউ