ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে মোবাইল ফোন নিক্ষেপ করা হয়। মোদির শরীরে না লাগলেও হাতের পাশ দিয়ে বেরিয়ে তার গাড়ির বনেটে পড়ে। এ ঘটনার পর তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কীভাবে বারবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ ধরা পড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞরা শিউরে উঠছেন এই ভেবে যে, ওটা মোবাইল না হয়ে যদি অন্য কিছু হতো, তখন কী হতো।

আগামী ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। সেজন্য প্রচার চালাচ্ছেন মোদি। রোববার রাতে মাইসুরুর কেআর সার্কেলের কাছে রোড শো করেন মোদি। 

ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের টুইট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ছোট টেম্পো সাজিয়ে রোড শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর দুজন সদস্য ছিলেন। আর দুজন বিজেপি নেতা ছিলেন ওই গাড়িতে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, মোদির গাড়ি রাস্তা ধরে যাচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে মোদির গাড়ি লক্ষ্য করে ফুল ছুড়তে থাকেন। জনসংযোগ করতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তারইমধ্যে মোদির দিকে একটি মোবাইল ছোড়া হয়। সেই সময় হাত নাড়াচ্ছিলেন মোদি। ঠিক হাতের সামনে দিয়ে মোবাইল বেরিয়ে যায়। সামান্য ফাঁক ছিল।

আরেক সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফোনটি যে গাড়ির বনেটে পড়েছে, তা মোদির চোখ এড়ায়নি। তিনি বিষয়টি দ্রুত স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) সদস্যদের জানান। তারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কর্ণাটক পুলিশের দাবি, এক নারী বিজেপি সমর্থক উত্তেজনার বশে মোবাইল ছুড়ে দিয়েছিলেন। তার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। 

কর্ণাটক পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (আইন-শৃঙ্খলা) অলোক কুমার বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা প্রদান করে এসপিজি। ওই নারী (যার ফোন মোদির গাড়িতে পড়ে) একজন বিজেপি কর্মী। পরে তাকে ফোন ফিরিয়ে দেন এসপিজির সদস্যরা। উত্তেজনার বশে ফোন ছুড়ে দিয়েছিলেন ওই নারী। কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।

ওএফ