চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের প্রথম স্থানে উঠে এসেছে ভারত। বুধবার (১৯ এপ্রিল) জাতিসংঘের প্রকাশিত ডাটা থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এখন ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। অপরদিকে দ্বিতীয়স্থানে নেমে যাওয়া চীনের ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ মানুষ রয়েছে।

১৯৫০ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকা করে আসছে জাতিসংঘ। এরমধ্যে এবারই প্রথমবার সংস্থাটির এ তালিকার প্রথম স্থানে উঠে এলো ভারতের নাম।

১৯৬০ সালের পর এই প্রথম তালিকার শীর্ষস্থান থেকে সরল চীন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এক সন্তান নীতি কঠোরভাবে মেনে চলা চীন এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। 

তবে বর্তমানে নতুন এক সমস্যায় ভুগছে দেশটি। একদিকে বিভিন্ন কারণে দেশটিতে মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে বেড়ে যাচ্ছে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা। জনসংখ্যা হ্রাসের বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যে দেশটিতে পড়া শুরু হয়েছে। এ কারণে বর্তমানে চীনের সরকার জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারতের জনসংখ্যার কথা বলা হলেও, ভারতীয় সরকার জানে না এখন দেশটিতে ঠিক কতজন মানুষ বসবাস করেন। কারণ ২০১১ সালের পর ভারতে আর জনশুমারি হয়নি। ২০২১ সালে নতুন করে আবারও শুমারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে এটি পিছিয়ে দিতে হয়।

জাতিসংঘের প্রকাশিত তথ্যে আরও জানা গেছে, ভারতের বর্তমান জনসংখ্যার ৪ ভাগের ১ ভাগের বয়স ১৪ বছরের নিচে। মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। আর ৭ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের উপরে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভারতের জনসংখ্যা টানা তিন দশক বাড়তে থাকবে। একটা সময় এ সংখ্যা ১৬৫ কোটিতে পৌঁছাবে। এরপর আবার জনসংখ্যায় হ্রাস দেখা যাবে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ৪৫ লাখ হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই