সুদানে সৌদি আরবের বিমানে গুলি
সামরিক এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘাতে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠা সুদানের রাজধানী খার্তুমের প্রধান বিমানবন্দরে সৌদি আরবের একটি বিমান আক্রান্ত হয়েছে। শনিবার সংঘর্ষের সময় খার্তুমের বিমানবন্দরে সৌদি আরবের একটি বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বলে সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের ব্মিান সংস্থা সৌদিয়ার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা খার্তুম বিমানবন্দর থেকে বিমানের যাত্রী, ক্রু ও অন্যান্য কর্মীদের সৌদি দূতাবাসে সরিয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব থেকে সুদান এবং সুদান থেকে সৌদিগামী সব বিমানের ফ্লাইট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সুদানে সেনাবাহিনী এবং প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে শনিবার হঠাৎ করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০০ জন।
দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে মূলত আরএসএফকে সেনাবাহিনীতে একীভূত করা নিয়ে। সুদানে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা চায় আগামী ২ বছরের মধ্যে দুই বাহিনীকে এক করা হবে। তবে আরএসএফ জানিয়েছে, এ প্রক্রিয়া অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দিতে হবে। এ নিয়েই দুই বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে যায়।
আরএসএফ দাবি করেছে, তারা খারতুমে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট ভবন, খারতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে শনিবার দিনশেষে দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করে, প্রেসিডেন্ট ভবন ও বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রয়েছে।
সুদানে সংঘর্ষে হতাহতের খবর রাখা ডক্টরস ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩ জন জাতিসংঘের কর্মী।
সুদানের সেনাবাহিনী বর্তমান শাসক জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুসারী। অপরদিকে আরএসএফের সেনারা সাবেক সমালোচিত যুদ্ধবাজ জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর অনুসারী।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান।
এসএস