ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড তাপে শরীর পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। সাধারণত এমন প্রখর রোদ ও তাপ দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। কিন্তু এই মুহূর্তে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের চেয়েও বাংলাদেশের তাপমাত্রা বেশি।

বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে আসা ওয়েবসাইট ওয়েদারডটকমের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে তুলনায় মরুর দেশগুলোর তাপমাত্রা অনেক কম।

আবহাওয়ার প্রতি মুহূর্তের লাইভ আপডেট জানুন এখানে

• মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর রাজধানীতে শনিবারের তাপমাত্রা—

ইয়েমেন, সানা- ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

সংযুক্ত আরব আমিরাত, আবুধাবি- ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

তুরস্ক, আঙ্কারা- ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস

সিরিয়া, দামেস্ক- ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

সৌদি আরব, রিয়াদ- ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

কাতার, দোহা- ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ফিলিস্তিন- ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ওমান, মাসকাট- ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

লেবানন, বৈরুত- ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

কুয়েত, কুয়েত সিটি- ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

জর্ডান, আম্মান- ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ইরাক, বাগদাদ- ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ইসরায়েল- ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ইরান, তেহরান- ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

মিসর, কায়রো- ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

বাহরাইন, মানামা, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের অঞ্চল ও শহর ভেদে তাপমাত্রার তারতম্য রয়েছে। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে শনিবার তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরীতে তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বেশি তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে। এমন তাপমাত্রার সঙ্গে পরিচিত না হওয়ায় নিদারুণ কষ্ট ভোগ করছেন বাংলাদেশিরা। 

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়। গত তিন দিন ধরে তীব্র ও প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস,  ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এমটিআই