পাওনা অর্থ পরিশোধের দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের মালিক ও শীর্ষ নির্বাহী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন টুইটারের সাবেক শীর্ষ নির্বাহী পরাগ আগারওয়াল এবং দুই শীর্ষ কমকর্তা বিজয় গাড্ডে এবং নেড সাগাল।

গত বছর ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে টুইটার কিনে নেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। মালিকানা গ্রহণের পর পরই টুইটারের শীর্ষ নির্বাহী ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগারওয়ালকে বরখাস্ত করে নিজেই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীর পদে আসীন হন মাস্ক।

পরাগ আগারওয়ালের পাশাপাশি টুইটারের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকেও অব্যাহতি দেন ইলন মাস্ক। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক আইন কর্মকর্তা বিজয়া গাড্ডে  ও সাবেক প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগালও আছেন এই তালিকায়।

মামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিষ্ঠার ইমোজি পাঠিয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে। 

মামলার এজাহার অনুসারে,পূর্ব প্রতিশ্রুতি দিয়েও ইলন মাস্ক যখন টুইটার কেনা থেকে বিরত থাকতে বিভিন্ন অভিযোগ তুলছিলেন, সেসব অভিযোগের তদন্ত এবং চাকরিচ্যুতির পর মামলা পরিচালনা বাবদ খরচ করতে হয়েছে পরাগ, বিজয়া ও নেডকে। কোম্পানির বিধি ও আইন এই ব্যয় টুইটার কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য, কিন্তু কোম্পানি সেই ব্যয় পরিশোধ করছে না। তাই পাওনা বাবদ ১০ লাখের বেশি ডলার আদায়ে মামলা করেছেন তারা।

ইলন মাস্ক টুইটার কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেন গত বছরের মার্চে। ওই বছরের ১৪ এপ্রিল টুইটার পুরোপুরি কিনে নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেন এই ধনকুবের। এরপর অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ, চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা এবং শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হওয়া—বহু জল ঘোলা করে অবশেষে অক্টোবরে টুইটারের মালিকানায় যুক্ত হন মাস্ক।

টুইটারের মালিকানা গ্রহণের পরপর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা ছাড়াও বিভিন্ন নতুন নিয়ম করতে থাকেন ইলন মাস্ক। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাহকদের জন্য মাসে ৮ ডলারের (৭ দশমিক ৯৯ ডলার) বিনিময়ে টুইটারের ‘ব্লু টিক’ সেবা চালু করা, কর্মীদের দীর্ঘ সময় (১২ ঘণ্টা) কাজ করতে বলা, যারা বাড়িতে বসে কাজ করছিলেন, তাদের অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ ইত্যাদি।

সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাই করেও আলোচনায় আসেন ইলন মাস্ক। রাজস্ব আয় কমে যাওয়ায় কারণ দেখিয়ে গত নভেম্বরে টুইটার একসঙ্গে ৩ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করে। তারপরেও কয়েক দফায় কর্মী ছাঁটাই করে প্রতিষ্ঠানটি।

এসএমডব্লিউ