স্টর্মি ড্যানিয়েলস

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের দায়ের করা মানহানির মামলায় ইতোমধ্যে আইনগত বিজয় হয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, এখন উল্টো ট্রাম্পকেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রাপ্তবয়স্কদের চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রীকে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ম্যানহাটান সেশন আদালতে হাজির হন ট্রাম্প। আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হওয়ার পর ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, পরে পুলিশি হেফাজতেও নেওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পর বিচারকের সামনে হাজির করা হয় তাকে। ট্রাম্পের সঙ্গে এসময় তার আইনজীবীরাও ছিলেন।

এই দিন আদালত ট্রাম্পকে ৩৪টি অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। ট্রাম্প অবশ্য আদালতের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তবে এদিনের শুনানিতে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মামলাটিকে ভুয়া বলে রায় দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ট্রাম্পকে ১ লাখ ২১ হাজার ৯৬২ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূর প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

নির্দেশে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ড্যানিয়েলস এই মামলাটি দায়েরের পর থেকে আইনজীবীদের পারিশ্রমিক বাবদ ট্রাম্পের যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে— ড্যানিয়েলসকে কেবল সেই অর্থ প্রদান করতে হবে।

মঙ্গলবার আদালত এই রায় ঘোষণার পরই এক টুইটবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প। টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘ব্রেকিং!!! বিচারক এই মাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ১ লাখ ২১ হাজার ৯৬২ দশমিক ৫৬ ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাম্পের আইনজীবী এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইনি সহায়তা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ধিলন ল’স’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারমিত কে. ধিলন এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আজকের বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন। আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, স্টর্মি ড্যানিয়েলস মামলাটি দায়েরের পর থেকে আমাদের ল’ ফার্ম ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যা যা আইনী সহায়তা দিয়েছে, তার পারিশ্রমিক ছিল ৬০ হাজার ডলারেরও বেশি।’

২০২২ এর মার্চে এই দেওয়ানি মামলার খরচ হিসেবে ট্রাম্পকে প্রায় ৩ লাখ ডলার দিতে ড্যানিয়েলসকে আদেশ দিয়েছিলেন একটি মার্কিন আদালত আদালত। ড্যানিয়েলস এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন, সেই আপিলেরই রায় দিয়েছেন আদালত।

ড্যানিয়েলস আপিলে হেরেছেন, তবে ক্ষতিপূরণের অর্থ কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।  

আদালতের রায়ের পর ট্রাম্পের অপর সন্তান ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এক টুইটে উল্লাস প্রকাশ করে লেখেন, ‘লোল, সে বলছিল, তার টি-শার্টের বিক্রি বাড়ছে। আমি খুশি, সে জরিমানা দিতে সক্ষম হবে!’

এসএমডব্লিউ