ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে তুষারধসে চাপা পড়া লোকজনের সন্ধান করছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা | ছবি : ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমের নাথু লা এলাকায় ভয়াবহ তুষারধসে অন্তত সাতজন পর্যটক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জনের বেশি। এছাড়া তুষারের নিচে আরও অনেকে আটকে পড়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের সাথে নাথু লাকে সংযোগকারী জওহরলাল নেহরু সড়কে স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তুষারধসের এই ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ১৫০ জন পর্যটক ওই এলাকায় ছিলেন।

দেশটির উদ্ধারকারী একাধিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, নিহত সাতজনই পর্যটক এবং অন্তত ৭০ জন তুষারের নিচে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তা তেনজিং লোডেন বলেন, হিমালয় অঞ্চলের এই রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটকের উপকণ্ঠের চাঙ্গু হ্রদের সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে বলে রয়টার্সের সহযোগী ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই টুইটারে জানিয়েছে।

অন্তত ৭০ জন তুষারের নিচে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে

এএনআইয়ের ভিডিওতে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় দেখা যায়। দেশটির সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিকেল ৩টা নাগাদ ১৪ জনকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী সেনা চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে সাতজন মারা গেছেন। বাকি সাতজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গ্যাংটকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘার নিচে অবস্থিত মনোরম সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত সিকিমে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে যান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৩১০ মিটার (১৪ হাজার ১৪০ ফুট) উচ্চতায় নাথু লা পাসের অবস্থান। চীনের সীমান্ত লাগোয়া এই রাজ্য ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এক পর্যটন কেন্দ্র।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিওতে তুষারধসের ভয়াবহ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। তুষারের নিচে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে স্থানীয়দের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এসএস