এবার সরকারি ফোনে টিকটক নিষিদ্ধ করছে অস্ট্রেলিয়া
চীনের তৈরি অ্যাপ টিকটক নিয়ে বিভিন্ন দেশেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ বহু দেশই টিকটকের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় এবার সরকারি ফোনে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
চলতি সপ্তাহেই এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হতে পারে। সোমবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া চলতি সপ্তাহে সরকারি ফোনে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেবে বলে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রগুলো সোমবার রাতে জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পর্যালোচনা শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ সরকারি ডিভাইসে টিকটক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সম্মত হয়েছেন।
এছাড়া ভিক্টোরিয়া প্রদেশও সরকারি ফোনে চীনা এই ভিডিও অ্যাপ নিষিদ্ধ করবে বলে দ্য এজ পত্রিকা জানিয়েছে। প্রাদেশিক সরকারের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ফেডারেল সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করবে ভিক্টোরিয়া।
অবশ্য চীনের তৈরি অ্যাপ টিকটক নিয়ে বিভিন্ন দেশেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, বেলজিয়াম এবং ইউরোপীয় কমিশন ইতোমধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে অফিসিয়াল ডিভাইস থেকে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করেছে।
বেইজিং-ভিত্তিক কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এই অ্যাপ থেকে ব্যবহারকারীর ডেটা পশ্চিমা নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে চীনা সরকারের হাতে চলে যেতে পারে এমন আশঙ্কার কারণে টিকটক ক্রমবর্ধমান তদন্তের আওতায় এসেছে।
টিকটক অস্ট্রেলিয়ার জেনারেল ম্যানেজার লি হান্টারকে উদ্ধৃত করে দ্য এজ বলেছে, ‘এই নীতির বিষয়ে সরকারের সাথে গঠনমূলকভাবে সংশ্লিষ্ট থাকার জন্য বারবার আমরা প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও’ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে পেরে কোম্পানি হতাশ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি, টিকটক কোনও ভাবেই অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করছে না এবং এমন কোনও প্রমাণও নেই।’
উল্লেখ্য, টিকটকের মূল মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। গত কয়েক বছরে এটি গোটা বিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয় এক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী চীনা এই অ্যাপটি ৩৫০ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে।
কিন্তু নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে গত কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে বেশ কঠোর অবস্থানে চলে গেছে। এসব দেশ বলছে, চীনা কর্মকর্তারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে।
টিএম