রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব। ডিএম বা জেলাশাসকের কাছে নিজের সরকারি প্যাডে চিঠি লিখে নালিশ করেছেন, তার বাড়ির কাছের মসজিদ থেকে মাইকে ভোরের আজানের শব্দে তার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে।

তারপর অনেক চেষ্টা করেও ঘুম আসছে না। মাথাব্যথা করছে। এর প্রভাব তার কাজে গিয়ে পড়ছে। তিনি আদালতের রায় উদ্ধৃত করে বলেছেন, কোনো ধর্মই মাইক ব্যবহার করার কথা বলে না। তার দাবি ছিল, মাইক বন্ধ করতে হবে।

ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব

শুধু আজান নয়, রমজানের সময় সেহরি নিয়েও তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ঈদের আগে ভোর চারটার সময় যে সেহরি হয়, তার আওয়াজেও অন্য মানুষদের অসুবিধা হয়। তিনি এই চিঠি লিখেছিলেন মার্চে। কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে চিঠির প্রতিলিপি প্রকাশিত হওয়ার পরই প্রবল বিতর্ক শুরু হয়।

ঘটনা হলো, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানাচ্ছে, মসজিদের পক্ষ থেকে খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, তারা দুইটি লাউডস্পিকার অন্যদিকে বসিয়েছেন। মাইকের ভলিউম পঞ্চাশ শতাংশ কম করে দিয়েছেন। ফলে এখন আর কোনো সমস্যা নেই। তার মতে, প্রশাসনিক কর্তাদের না বলে, উপাচার্য যদি আগে তাদের জানাতেন, তা হলে অনেক আগেই তারা এই ব্যবস্থা নিতে পারতেন।

গণমাধ্যমগুলো বলছে, মসজিদের আজানের শব্দে উপাচার্যের ঘুম ভেঙে যেত। আওয়াজ একটু কম করে দিতে তিনি মসজিদ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করতে পারতেন। তারা সেটা করে দিলে আর কোনো সমস্যা থাকতো না। কিন্তু সরাসরি জেলার সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখে, সামাজিক মাধ্যমে সেই চিঠি প্রকাশিত হয়ে যে বিতর্কটা সৃষ্টি হয়েছে, তা খুব একটা সুখের নয়।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

টিএম