পাশে না থেকে ‘শেষ বয়সে’ অসুস্থ স্ত্রীকে ডিভোর্স বিশ্বের সেরা ধনীর
শেষ বয়সে আরও দৃঢ় হয় বিয়ের বন্ধন, বাড়ে মায়া-মহব্বত আর ভালোবাসা। কিন্তু এর উল্টোটা হয়েছে বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পোরশের প্রধান নির্বাহী ওলফগ্যাং পোরশের স্ত্রী ক্লাউডিয়া পোরশের সঙ্গে।
মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিলিয়নিয়ার ওলফগ্যাং পোরশে। জার্মান সাময়িকী বিল্ডের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের এ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ৭৯ বছর বয়সী ওলফগ্যাং পোরশে তার ৭৪ বছর বয়সী স্ত্রীর সঙ্গে আর থাকতে পারছেন না। কারণ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তার আচরণও পরিবর্তন হয়ে গেছে।
জার্মান সাময়িকী বিল্ড জানিয়েছে, ওলফগ্যাং ২০০৭ সালে ক্লাউডিয়ার সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন। আর তাকে বিয়ে করেন ২০১৯ সালে। কিন্তু ক্লাউডিয়ার মানসিক আচরণ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় এখন তাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওলফগ্যাং।
বিল্ড আরও জানিয়েছেন, ক্লাউডিয়া এক সময় জার্মান সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন যে, এখন তার সেবায় সার্বক্ষণিক চারজন মানুষকে নিয়োজিত থাকতে হয়। কারও সহায়তা ছাড়া তিনি চলাফেরাও করতে পারেন না।
জার্মান এ সাময়িকীর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্ত্রী অসুস্থ থাকলেও এখন নিজের সাবেক বান্ধবী ৫৯ বছর বয়সী গ্র্যাব্রিয়েলা প্রিনজেসিন ঝু লিনিনগেনের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করছেন ওলফগ্যাং।
এদিকে ওলফগ্যাং পোরশে বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় বসবাস করছেন। তার চার সন্তান রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী সুসানে ব্রেসারের ঘরে জন্ম হয়েছিল দুই সন্তানের। সুসানেকে ১৯৮৮ সালে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৮ সালে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
সূত্র: বিল্ড
এমটিআই