হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে শিগগিরই বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা
একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া। মঙ্গলবার রাতে জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তানের উত্তর পার্বত্য অঞ্চল। এই ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রভাব পড়েছিল ভারত-পাকিস্তানেও। এভাবে পরপর ভূমিকম্পের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই দাবি ভূ-বিশেষজ্ঞদের। যেকোনো সময় হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, চীন ছাড়াও রয়েছে কাজাখাস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও কিরঘিস্তান। এই দেশগুলোর মধ্যে আবার একেবারে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও চীনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
তা সত্ত্বেও হিমালয়ের কোলে পাহাড় কেটে গড়ে উঠছে বহুতল হোটেল, তৈরি হচ্ছে পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পও। যার গভীর প্রভাব পড়ছে ভূপৃষ্ঠে। এছাড়া হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ।
যেকোনো সময় বড় ভূমিকম্প ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হিমালয়ান জিওলজির ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. অজয় পাল। তিনি জানান, হিমালয়ান অঞ্চল সেসমিক জোন-৫ (খুব স্পর্শকাতর জোন)-এর মধ্যে পড়ে। ফলে যেকোনো সময়ে এই অঞ্চলে ভূমিকম্প হতে পারে।
যদিও কখন ভূমিকম্প ঘটবে তা আগে থেকে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয় বলেও মনে করেন ড. অজয় পল। তিনি বলেন, যখন টেকটোনিক প্লেটস থেকে শক্তি নির্গত হয়, তখনই ভূমিকম্প হতে পারে। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব না হলেও ভূমিকম্পের ক্ষতি থেকে অন্তত কিছুটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
এ বিষয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ভূমিকম্প মোকাবিলায় সক্ষম এমন পরিকল্পনা করেই ঘর-বাড়ি, হোটেল তৈরির কথা বলছেন তিনি। পাশাপাশি হিমালয়ের কোলে অতিরিক্ত বাড়ি বা বড়-বড় হোটেল এবং তার থেকে সৃষ্ট দূষণও যে ভূ-পৃষ্ঠের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেটিও ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভূ-বিশেষজ্ঞরা।
ওএফ