পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরের সঙ্গে করিডোর খোলার চেষ্টা ভারতের
কাশ্মির ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব কয়েক দশকের। এই ইস্যুতে একাধিক যুদ্ধেও জড়িয়েছে দেশ দু’টি। এই পরিস্থিতিতে তীর্থযাত্রার জন্য পাকিস্তান-শাসিত আজাদ কাশ্মিরের সঙ্গে করিডোর খোলার পরিকল্পনা করছে ভারত।
মূলত পাঞ্জাবের কর্তারপুর করিডোরের আদলে এই করিডোর খোলার চেষ্টা চালাবে ভারত। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার পাঞ্জাবের কর্তারপুর করিডোরের আদলে শারদা পীঠ তীর্থযাত্রার জন্য পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মিরের সঙ্গে একটি করিডোর খোলার প্রচেষ্টা চালাবে।
তবে ভারতকে এই পদক্ষেপটি বাস্তবায়ন করতে হলে পাকিস্তানের অনুমতি পেতে হবে এবং ভারত-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরের কুপওয়ারার তেতওয়ালে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পুনরায় খোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে। ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ার পর থেকে এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, বুধবার ভারতশাসিত কাশ্মিরের কুপওয়ারা জেলার তেতওয়ালে শারদা দেবী মন্দির উদ্বোধন করার পর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘোষণা দেন। মন্দিরটি এলওসি বরাবর কিষাণগঙ্গা নদীর তীরে নির্মিত হয়েছে, যেটি কার্যত পূর্ববর্তী জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যকে বিভক্ত করেছে।
বুধবার অমিত শাহ বলেন, ‘রবিন্দর পণ্ডিতা বলেছেন- কর্তারপুর করিডরের আদলে তীর্থযাত্রীদের জন্য শারদা পীঠ উন্মুক্ত করা উচিত। ভারত সরকার অবশ্যই এই বিষয়ে প্রয়াস চালাবে। এতে কোনও দ্বিমত নেই।’
এনডিটিভি বলছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের দুই পাশের তথা এলওসি’র দুই পাশের বাণিজ্য এবং শ্রীনগর-মুজাফফরাবাদ বাস পরিষেবা ২০১৯ সাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।
আর তাই ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও যোগাযোগ উন্মুক্ত করে আজাদ কাশ্মিরে তীর্থযাত্রার জন্য করিডোর খোলা হবে প্রথম বড় পদক্ষেপ।
প্রাচীন শারদা মন্দির এবং শিক্ষার কেন্দ্র বা শারদা পীঠ আজাদ কাশ্মিরের এলওসিজুড়ে নীলম উপত্যকায় অবস্থিত। অমিত শাহ বলেন, মন্দিরের উদ্বোধন নতুন যুগের সূচনা করছে এবং শারদা সভ্যতা ও শারদা লিপি আবিষ্কারের দিকে এক ধাপ এগিয়ে দেবে।
টিএম