আম্বানির ক্যাম্পা কোলার আগমনে ভারতে দাম কমছে কোকা-কোলার
চলতি গ্রীষ্মেই ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের হাত ধরে বাজারে ফিরছে দেশটির একসময়ের জনপ্রিয় কোমল পানীয় ক্যাম্পা কোলা। এই পরিস্থিতিতে বাজার ধরে রাখতে নিজেদের পণ্যের দাম কমিয়েছে কোকা-কোলা।
কোকা-কোলা কোম্পানির ভারতীয় শাখা কোকা-কোলা ইন্ডিয়া গত ১৬ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এখন থেকে ভারতের ৩ প্রদেশ তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ২০০ মিলিগ্রাম (এমএল) কোকা-কোলার বোতলের দাম খুচরা পর্যায়ে ১৫ রুপির পরিবর্তে ১০ রুপিতে বিক্রি করা হবে।
বিজ্ঞাপন
কোকা-কোলা ইন্ডিয়ার এক কর্মকর্তা ভারতীয় দৈনিক ডেকান হেরাল্ডকে জানান, আপতত পরীক্ষামূলকভাবে তিন প্রদেশে পানীয়টির দাম কমানো হচ্ছে এবং এই মূল্যহ্রাস কেবল ২০০ এমএলের বোতলের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কোমল পানীয় কোকা-কোলা ভারতেও তুমুল জনপ্রিয়। অপর বহুজাতিক কোম্পানি পেপসিকো’র কোমল পানীয় পেপসির জনপ্রিয়তাও ব্যাপক দেশটিতে। ভারতের অধিকাংশ প্রদেশে বছরের ৯ মাস গ্রীষ্মকাল থাকে। এ সময় ভোক্তা পর্যায়ে কোমল পানীয়র চাহিদাও থাকে তুঙ্গে।
অবশ্য কোকা-কোলার মূল্যহ্রাসের অপর একটি কারণ ক্যাম্পা কোলা। রিলায়েন্স গ্রুপের অধীন প্রতিষ্ঠান রিল্যায়েন্স কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের ঘোষণা অনুযায়ী, বাজারে প্রবেশের সময় ২০০ এমএলের ক্যাম্পা কোলার বোতলের দাম হবে ১০ রুপি।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে ভারতের বাজারে প্রথম আসে ক্যাম্পা কোলা। ভারতীয় কোম্পানি পিওর ড্রিংকস লিমিটেড এই পানীয়টি বাজারে এনেছিল।
বাজারে আসার পর অল্প সময়ের মধ্যেই ভোক্তাপর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ক্যাম্পা কোলা এবং এই জনপ্রিতা ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে রেখেছিল পানীয়টি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের খুব পছন্দের পানীয় ছিল এ ক্যাম্পা কোলা।
পরে ১৯৭৭ সালে ভারতের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনীতি উদারীকরণের কারণে দেশটির বাজারে কোকাকোলা-পেপসির আগমণের পথ আরও সুগম হয় এবং ধীরে ধীরে বাজার হারাতে থাকে ক্যাম্পা কোলা। তারপর নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে এই পানীয়টি হারিয়ে যায়।
গত বছর মুকেশ আম্বানি ফের ক্যাম্পা কোলাকে ফিরিয়ে উদ্যোগ নেন। পিওর ড্রিংক্স লিমিটেডের কাছে থেকে ২২ কোটি রুপিতে ক্যাম্পা কোলা ব্র্যান্ডটি কিনে নেন তিনি এবং ঘোষণা দেন— ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ভারতীয়দের তৃষ্ণা মেটাতে কোলা, লেবু ও কমলা লেবু— তিন স্বাদ নিয়ে হাজির হবে ক্যাম্পা কোলা।
এসএসডব্লিউ