১৬ বছর বয়সী ওমর আওয়াদিনকে হত্যার স্থানে জড়ো হয়েছেন ফিলিস্তিনিরা

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে কমপক্ষে চার ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে একজন কিশোরও রয়েছে। পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কিশোরসহ অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এই অভিযান ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইউনিফর্ম ছাড়াই সাদা পোশাকে পরিচালনা করে। এসময় ইসরায়েলি সেনা সদস্যরা জেনিনের কেন্দ্রস্থলে প্রবেশ করে। মূলত গত বছর থেকে ইসরায়েল পশ্চিমতীরে এই ধরনের অভিযান জোরদার করেছে।

ফিলিস্তিনি ওই মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে। নিহতরা হলেন- ২৯ বছর বয়সী ইউসেফ শ্রীম, ২৮ বছর বয়সী নিদাল খাজিম এবং ১৬ বছর বয়সী কিশোর ওমর আওয়াদিন। অবশ্য নিহত চতুর্থ ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনী ‘জেনিন শরণার্থী শিবিরে’ অপারেশন চালিয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে দমন করার প্রয়াসে ইসরায়েল পশ্চিমতীরের যেসব এলাকায় সামরিক অভিযান জোরদার করেছে, জেনিন সেসব এলাকার একটি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, তারা আগামী ১৯ মার্চ মিশরের লোহিত সাগরের রিসোর্ট শহর শার্ম এল-শেখে ইসরায়েলের সাথে একটি নিরাপত্তা বৈঠকে অংশ নেবে।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুর ওদেহ বলেছেন, ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের এই বৈঠকে উপস্থিত হওয়া উচিত নয়। কারণ ফিলিস্তিনি জনমত ‘প্রবলভাবে এর বিরুদ্ধে’। এছাড়া ওই বৈঠকে মিশর, জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বৃহস্পতিবারের এই প্রাণহানির ঘটনায় চলতি বছর পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা পৌঁছেছে ৮৩ জনে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে।

এছাড়া ২০২২ সালে ইসরায়েলি অভিযানে ১৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন। নিহত এসব ফিলিস্তিনির বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

টিএম