রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে হওয়া শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি আছে তারা। তবে মেয়াদ বাড়াতে হলে, কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো দিয়ে কোনো বাধা ছাড়া রাশিয়ার নিজস্ব কৃষি পণ্য রপ্তানির সুযোগ দিতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দিয়েছে তারা।  

২০২২ সালের জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে খাদ্য শস্য রপ্তানি চুক্তি করে মস্কো। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে লাখ লাখ টন শস্য আটকা পড়ে। সেগুলো রপ্তানির সুযোগ করে দিতে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের এ চুক্তিটি হয়।

প্রথম দফায় চুক্তির মেয়াদ ছিল ১২০ দিন। কিন্তু মাঝে চুক্তি থেকে সরে আসে মস্কো। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত বছরের নভেম্বরে আবারও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে ১৮ মার্চ। তবে চুক্তির মেয়াদ নতুন করে বাড়াতে সব পক্ষকেই সম্মত হতে হবে। কিন্তু রাশিয়া ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে, চুক্তি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট না।

রাশিয়ার কৃষি পণ্যের ওপর অবশ্য পশ্চিমারা কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। কিন্তু মস্কোর দাবি, পণ্যের মূল্য পরিশোধ, লজিস্টিক এবং ইন্সুরেন্স কোম্পানির সমস্যার কারণে তারা তাদের নিজস্ব কৃষি পণ্য ও সার রপ্তানি করতে সমস্যায় পড়ছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, চুক্তির বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ভারতের রাজধানী নয়দিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের ফাঁকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।

এদিকে বিশ্বে মোট খাদ্য শস্যের বড় একটি অংশ উৎপাদিত হয় রাশিয়া এবং ইউক্রেনে। এছাড়া এ দুটি দেশ শস্য রপ্তানির দিক দিয়েও শীর্ষে রয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা পর রাশিয়া যখন ইউক্রেনের বন্দরগুলো বন্ধ করে দেয়, তখন বিশ্বে খাদ্য সংকটের শঙ্কা দেখা দেয়। তবে তুরস্ক ও জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় সেই শঙ্কা দূর হয়। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় বিষয়টি আবারও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ

এমটিআই