রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তির আগের দিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পুতিনের এ ঘোষণার পর ‘পারমাণবিক যুদ্ধের’ শঙ্কা নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়।

এমন শঙ্কার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর পারমাণবিক সক্ষমতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ন্যাটো ঘোষণা দিয়েছে, তারা রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে হারাতে চায়। আর এমন পরিস্থিতিতে ন্যাটোর পারমাণবিক শক্তির বিষয়টি রাশিয়াকে বিবেচনায় রাখতে হবে।

এ ব্যাপারে রোশিয়া টেলিভিশন ওয়ানকে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, ‘আজকের পরিস্থিতিতে, যখন ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন সকল দেশ ঘোষণা দিয়েছে তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে হারানো, যেন আমাদের জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে আমরা কিভাবে তাদের পারমাণবিক শক্তির বিষয়টি উপেক্ষা করব?’

তিনি আরও বলেছেন, ‘পশ্চিমাদের একটি লক্ষ্য ছিল— সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ রাশিয়াকে ভাঙা।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০১০ সালে নিউ স্টার্ট চুক্তি করে রাশিয়া। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র সম্মত হয়েছিল পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যায় রাখবে দুই দেশ। এছাড়া একে-অপরের অস্ত্র কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনারা ইউক্রেনে হামলা করার পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেয়। এসব সহায়তার পরও রাশিয়া জানিয়েছিল, নিউ স্টার্ট চুক্তিতে থাকবে তারা। কিন্তু যুদ্ধের এ বছর পূর্তির আগের দিন হঠাৎ করে এটি স্থগিত করার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই